ছাত্র বিক্ষোভে আটকে থাকা অবস্থায় ব্রাত্য বসু বলেন, “এটাই হচ্ছে এই সব (বাম-অতিবাম) ছাত্র সংগঠনের গণতন্ত্র। এরাই রাস্তায় নেমে অসভ্যতা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্যে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। আমরা সহিষ্ণুতার পাঠ জানি। আমি ওদের বললাম আপনারা দুজন আসুন। ওরা বলল চল্লইস জন যাব। আর এতজন মিলে কথা হয়। এরপরই ওরা বাধা দেয়। আমাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে যাতে পুলিশ ডাকি। কিন্তু সেটা করব না।
এ দিন, বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক ছাত্র। জানা যাচ্ছে, ব্রাত্য বসু যে সময় গাড়ি নিয়ে বেরাচ্ছিলেন সেই সময় ওই পড়ুয়া গাড়ির তলায় শুয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। তারপর গাড়ির উপরে উঠে যান তিনি। এরপর ওয়েবকুপার (তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন) কয়েক জন্য সদস্য তাঁকে সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ফের ছুটে আসেন। তবে বোঝা যাচ্ছে না শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় নাকি ঠেলাঠেলিতে তিনি পড়ে গিয়েছেন। ফলস্বরূপ ছাত্রর মাথার একদিকে কেটে গিয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি। আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কেপিসি-তে। অসুস্থ আরও দুই।
এক ছাত্র বলেন, “গাড়ি নিয়ে তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের ছাত্রদের মেরে গেছে। ওর কিছু হলে হিসাব তুলব।” আরও এক বলেন, “তৃণমূল প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে।” অভিযোগকারী এক ছাত্র বলেন, “ব্রাত্য বসু গাড়ি চাপা দিয়ে মারতে চেয়েছে।” আর একজন বললেন,”অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছা করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।”
অপরদিকে টিএমসিপি-র এক সদস্য বলেন, “ব্রাত্য বসু যখন স্পিচ দিচ্ছিলেন সেই সময় মাওবাদী-বামগুলো চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছিল। মন্ত্রীর গাড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে। আর এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও নয়। আমরা একজনকে চিহ্নিত করেছি। যে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়া। ইচ্ছাকৃত অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলেছে।”
কী নিয়ে এত ঝামেলা?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসছে ওয়েবকুপার (তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন) বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাম্পাসে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়েই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানায় বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। এই ইস্যুকে ভিত্তি করে দফায়-দফায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন