Top News

সদ্যজাত শিশুকে হাসপাতালে রেখে নিখোঁজ নাবালিকা।

উত্তর শহরতলির একটি এলাকায় ১২ বছরের মেয়েটিকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রসব-যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ওই নাবালিকাকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সে এক কন্যার জন্ম দেয়।

হাসপাতালে সদ্যজাত শিশুকে রেখে নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা। মঙ্গলবার রাতে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়।পুলিশ সূত্রে খবর,ওই মেয়েটি এক পরিচিতের বাড়িতে থাকে। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দরজায় তালা ঝুলছে। এরপর সেই আত্মীয়র খোজ করে পুলিশ।ঘটনাটি ১০ মিনিটের মধ্যে জানাজানি হতেই পুলিশ এবং ‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি’কে জানানো হয়।হাসপাতালের আরও সজাগ থাকা প্রয়োজন ছিল বলেই মন্তব্য করেছেন সংস্থার চেয়ারপার্সন। যদিও হাসপাতালের গাফিলতি কথা উঠে আসে। চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি হাসপাতাল কে দাবি করে।

 সূত্রে খবর, নাবালিকাটির বাবা এখানকার বাসিন্দা হলেও তার মা নাগাল্যান্ডের মানুষ। বিয়ের পরে তাঁরা এখানে কিছু দিন থাকলেও পরে আলাদা হয়ে যান। মহিলা নাগাল্যান্ডে ফিরে গিয়েছেন। তার স্বামীও এখানে থাকেন না। নাবালিকা এখানে এক পরিচিতের বাড়িতে থাকে। সে এক-দেড় বছর আগে নাগাল্যান্ডে মায়ের কাছে গিয়েছিল। হাসপাতালের কর্মীরা জানান, নাবালিকা জানিয়েছে, সেখানে তার সঙ্গে একটি ছেলের আংটি বদল করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তার পরে তারা এখানে চলে আসে। কিছু দিন পরে ওই ছেলেটি নাগাল্যান্ডে ফিরে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই পুরপ্রতিনিধি বুধবার বলেন, ‘‘আমার তরফে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করেছি। হাসপাতালকে মঙ্গলবার দুপুরেই অনুরোধ করেছিলাম সতর্ক থাকার জন্য।’’ এই ঘটনায় কমিশনারেটের প্রশ্ন, মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই কেন তাদের জানানো হল না?

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন