Top News

এবার শুধু পায়ে হেঁটে নয় কেদারনাথ-এ যাওয়া যাবে রোপওয়ে করে।

আগে কেদারনাথ যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল পায়ে হাটা পথ। কিন্ত দিন দিন সেই রাস্তা সহজ করে তোলার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম যুক্ত হয়েছে। হেলিকপ্টারের সাথে সাথে সরকার রোপ ওয়ে সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিল। আগে সোনপ্রযাগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত সমস্ত ভক্তরা পায়ে হেঁটে যেতো। এখন সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরিকুন্ড পর্যন্ত 5 কিলোমিটার গাড়ি করে তারপর গৌরীকুণ্ড  থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত পাহাড়ি রাস্তা প্রায় ১৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ট্রেক করে পৌঁছায় ভক্তরা। এছাড়াও সেই রাস্তায় রয়েছে খচ্চর, ডুলি, মালকি সহ বিভিন্ন মানুষের যানবাহন। 
 
যদিও সরকার থেকে হেলিকপ্টারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসকল ভক্ত বৃন্দ রা পায়ে হেঁটে যেতে পারে না তারা হেলিকপ্টারে করে সনপ্রয়াগ থেকে সোজা কেদারনাথ এ যেতে পারে। কিন্তু আবহওয়া সামান্য পরিবর্তন হলেই সেই পরিবহন বন্ধ হয়ে যায় । উপরন্তু অনেক বয়স্ক লোকরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। 

এই অসুবিধা থেকে রেহায় দিতে সরকার প্রায় ৪০৮১ কোটি টাকা খরচ করে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ে করার সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিল। কেদারনাথের পরিবেশ ও আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক ‘ট্রাই-কেবল ডিট্যাচেবল গন্ডোলা’ প্রযুক্তিতে রোপওয়ে তৈরি হবে। যাতে এক দিকে প্রতি ঘণ্টায় ১,৮০০ জন যেতে পারবেন। দিনে মোট ১৮ হাজার যাত্রী রোপওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। বেশি তীর্থযাত্রী গেলে উত্তরাখণ্ডের পর্যটন, অর্থনীতিতে উন্নতি হবে। তবে পরিবেশে যাতে তার প্রভাব না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রেখে প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন