Newtown Case: জানা গিয়েছে, নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সৌমিত্র। তবে নিউটাউনের আদর্শ পল্লী এলাকায় ভাড়া থাকত সে।
নিউটাউন: নিউটউন ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত টোটোচালক সৌমিত্র রায়কে। গত শনিবারই তাকে আটক করে বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগ ও নিউটউন থানার পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। তারপরেই অভিযুক্ত টোটো চালককে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সৌমিত্র। তবে নিউটাউনের আদর্শ পল্লী এলাকায় ভাড়া থাকত সে। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার তিন দিন পরও থমথমে এলাকা। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন এলাকাবাসীরা। জানা গিয়েছে, এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ।
ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা বেজে ৪৯ নাগাদ জগতপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে ওই নাবালিকা একটি টোটোতে ওঠে গৌরাঙ্গ নগর বাড়ি যাবে বলে। এরপর টোটোর পিছনের সিটে বসে যায় নাবালিকা। অন্য যাত্রীরা উঠলে টোটো চালক নাবালিকাকে সামনের সিটে বসিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ধৃত টোটো চালক নিউটাউনে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তারপরেই নিউটাউন এর বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানোর পর লোহা ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। এরপরই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এমনই অভিযোগ ধৃত টোটো চালকের বিরুদ্ধে।
যদিও ওই টোটো চালকের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী এমন কাজ করতে পারেন বলে তিনি মনে করেন না। তবে, তার স্বামী বাড়িতে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা, এমন কী মারধরও করত বলে অভিযোগ তাঁর। ঘটনার দিন রাতেও তার স্বামী রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি চলে আসেন বলে দাবি তাঁর। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী সেই তথ্য মিলছে না বলে দাবি তদন্তকারীদের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন