আগামী মাসেই শহরের পথে দেখা মিলবে এই নয়া মডেলের এসি হলুদ ট্যাক্সির।
কলকাতা শহরের হেরিটেজ এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে অ্যাপ–ক্যাবের হাত ধরে শহরে ফিরছে নয়া মডেলের হলুদ ট্যাক্সি। ‘এনএ মোবিলিটি’ নামে কলকাতার এক সংস্থা এই ব্যাপারে উদ্যগী হয়েছে।
সদ্য–সমাপ্ত বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে (বিজিবিএস) রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে এ নিয়ে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে সংস্থাটি। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাসেই শহরের পথে দেখা মিলবে এই নয়া মডেলের এসি হলুদ ট্যাক্সির।
ট্যাক্সি বলতে কলকাতার মানুষ চেনে হলুদ রঙের অ্যাম্বাসাডরকেই। এই গাড়ি তৈরি করত হিন্দুস্তান মোটর্স। সেই গাড়ির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেকদিনই। হিন্দুস্তান মোটর্স তাদের কারখানা গুটিয়ে হুগলির হিন্দমোটর ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাই অ্যাম্বাসাডরের বদলে হলুদ ট্যাক্সি কলকাতার পথে আনতে এই সংস্থাটি মারুতির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
তাদের ‘ওয়্যাগন আর’ মডেলকেই এই হলুদ ট্যাক্সিতে রূপান্তরিত করে বাজারে আনা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ১৫ বছরের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় যে সব হলুদ ট্যাক্সি বাতিল হচ্ছে, তাদের ইচ্ছুক চালকদের দিয়েই চুক্তির ভিত্তিতে এই হলুদ ট্যাক্সি চালাতে চায় সংস্থাটি।
সেই কারণে সংস্থাটি নিজস্ব অ্যাপ–ক্যাব এখনই খুলছে না। বরং চালকরাই পছন্দমতো অ্যাপ–ক্যাব সংস্থাগুলির অধীনে চালাবে এই ট্যাক্সি। গাড়ির জন্য চালককে ওই সংস্থাকে ভাড়া দিতে হবে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় ৫০টি ট্যাক্সি শহরের পথে নামছে। নিজস্ব পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে প্রতি মাসে একশোটি করে হলুদ ট্যাক্সি পথে নামাবে ‘এনএ মোবিলিটি’ নামে সংস্থাটি। হলুদ রঙের এই নয়া ট্যাক্সির গায়ে থাকবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, হাওড়া ব্রিজ, মনুমেন্টের ছবি।
সূত্রের দাবি, এই মুহূর্তে ১৯টি সিএনজি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। এ ছাড়াও সরবরাহ ঠিক রাখতে নিজস্ব ক্যাপটিভ প্লান্টের জন্য সংস্থাটি বেঙ্গল গ্যাসের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন