আইসিসি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ একটি রোমাঞ্চকর
ম্যাচ দিয়ে শুরু হল, যেখানে
নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মধ্যে
প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হল করাচির ন্যাশনাল
স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড
৬০
রানে একটি দুর্দান্ত জয়
পায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে, নিউজিল্যান্ড
শুরুতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন
হয় এবং ৭৩ রানে
তাদের ৩টি উইকেট পড়ে
। তবে, উইল ইয়াং
১১২ বলে ১০৭ রানের
একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে স্থিতিশীল
করেন। টম ল্যাথাম, যিনি
এই ম্যাচের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন,
ইয়াংয়ের ইনিংসের
উপর ভিত্তি করে নিজের ১০৩
বলে অপরাজিত ১১৮ রান করেন,
যা ২০২২ সালের পর
তার প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি। গ্লেন ফিলিপসও ৩৮ বলে দ্রুত
৬১ রান করেন, যা
নিউজিল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ৩২০/৫ এর প্রতিযোগিতামূলক
স্কোরে পৌঁছে দেয়। ইয়াং এবং ল্যাথামের মধ্যে
১১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে
পুনরুজ্জীবিত করে।
পাকিস্তানের
বোলাররা কঠোর পরিশ্রম করে,
যেখানে হারিস রউফ এবং নাসিম
শাহ ২টি করে উইকেট
নেন এবং আবরার আহমেদ
১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। তবে ফিলিপস এবং
ল্যাথামের শেষ ওভারের ঝড়
সামলাতে ব্যর্থ হন পাকিস্তানের বোলাররা,
যা ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩২১
রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, পাকিস্তানের
ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও নিউজিল্যান্ডের
শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ের কারণে দ্রুত চাপে পড়ে যায়।
অধিনায়ক বাবর আজম ৬৪
রানের একটি ধৈর্যশীল ইনিংস
খেলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার
চেষ্টা করেন। খুশদিল শাহ একটি দুর্দান্ত
৬৯ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টারত ছিলেন
দলকে ম্যাচে ধরে রাখতে। তবে
নিয়মিত উইকেট পড়া এবং বড়
জুটির অভাবে তাদের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। শেষ
পর্যন্ত পাকিস্তান ৪৭.২ ওভারে
২৬০ রানে অলআউট হয়।
নিউজিল্যান্ডের
বোলাররা তাদের পরিকল্পনা সফলভাবে কার্যকর করে, যেখানে ম্যাট
হেনরি এবং মিচেল স্যান্টনার
পাকিস্তানের রান রেট কমাতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তানের
জন্য, এই পরাজয় তাদের
বাকি ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি
গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন