প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করার পর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালিবানের কায়দায় অনৈতিকভাবে বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে জামাত ইসলামি, বিএনপি,হিযবুতের মত ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলি । তারপর থেকে কট্টরপন্থীদের অবর্ণনীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘুরা । তবে শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষই নন, পাকিস্তানপন্থী ওই জঙ্গি দলগুলির নিশানায় চলে এসেছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও । দুর্বল সংখ্যালঘু হিন্দুরা পড়ে পড়ে মার খেলেও আওয়ামী লীগের কর্মীরা অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে । এমতাবস্থায় বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি । তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল শুক্রবার বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার গাজীপুরে ।
প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের ঢাকার গাজীপুরের বাড়িতে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা কমপক্ষে ১৫ জনকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে আহত করেছে । তবে আহতদের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি…।’
এর আগে শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০টায় গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দক্ষিণখানে প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রামে ডাকাত হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা ডাকচিৎকার শুরু করেন। ডাকাতির খবর পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং দলবেঁধে হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৬-১৭ জনকে ধরে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী। এতে গুরুতর আহত হয় । তবে তারা ডাকাত ছিল না বলে জানা গেছে । তারা ছিল জামাত ইসলামি ও বিএনপির জঙ্গিরা । গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র–জনতার পরিচয় দিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা এটির প্রতিরোধ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে।’।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন