৫ মাস হতে চলল। আরজি করের নারকীয় ঘটনার অপরাধীর নাম আজও গেল না জানা। সঞ্জয় রাই-ই কি একমাত্র অপরাধী? নাকি আরও কেউ নেপথ্যে? এখন উত্তরের অপেক্ষায় মানুষ। অভয়ার মা-বাবাও। কিন্তু সিবিআই তদন্তের প্রবাহ যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে চিকিৎসকমহলেই জাগছে হতাশা। উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি নো ওয়ান কিলড জেসিকা'-র মতো হয়ে যাবে 'নো ওয়ান কিলড অভয়া'?
হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল কর্তব্যরত চিকিৎসককে! ঘটনার দিন রাতের সাড়ে ৩ ঘণ্টার CCTV ফুটেজে ধরা পড়েছে ৬৮ বার যাতায়াত। কিন্তু সিবিআই-এর দাবি, সঞ্জয় রায় ছাড়া কাউকে চেনা যায়নি ! আর জি কর-কাণ্ডের তদন্তে নেমে, ইমার্জেন্সি ভবনের চার তলার পালমোনারি মেডিসিন বিভাগে থাকা একমাত্র সিসিটিভির সাড়ে ৩ ঘণ্টার ফুটেজ পরীক্ষা করেছে সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে চার্জশিটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজের যে বিবরণ জমা দিয়েছে তারা, তাতে একমাত্র সঞ্জয় রায়কেই 'identified' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।বাকি সবাই 'could not be identified'। কারা তারা, যাঁদের পরিচয় সিবিআই এতদিন তদন্ত করেও জানতে পারল না ?সিবিআইয়ের বিবরণ অনুযায়ী, ৯ অগাস্ট রাত আড়াইটা থেকে ভোর ৫টা ৫১ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার সামনে দিয়ে ৬৮ বার যাতায়াত করেছেন বিভিন্ন জন। যার মধ্যে ৩ বার যাতায়াত করেছেন ধৃত সঞ্জয় রায়। বিবরণে বলা হয়েছে - রাত ৪টে ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে সঞ্জয়কে ওয়ার্ডের দিকে যেতে দেখা যায়। রাত ৪টে ৩১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে ওয়ার্ডের দিক থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে আবার ফিরে যেতে দেখা যায় ধৃতকে। রাত ৪টে ৩২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে হেলমেট হাতে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সঞ্জয় রায়কে। কে কী পরেছিলেন, কার চেহারা কী রকম - তার বিস্তারিত বিবরণ দিলেও কাউকেই নাকি চিনতে পারেনি সিবিআই। গলায় স্টেথো ঝোলানো, এক ব্যক্তির ছবিও ধরা পড়েছে। তবে তাঁকেও 'could not be identified' বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
এই প্রেক্ষিতে, তদন্তের নামে প্রহসনের অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকরা। সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কাউকেই যদি চিনতে না পারে সিবিআই, তাহলে কি সত্যিই কিনারা হবে ঘটনার? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সিসিটিভি বিবরণ দেখে, সেই প্রশ্নই করছেন আন্দোলনকারীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন