Top News

চিনে দাপাচ্ছে HMPV! কতটা বিপদ ঘনাতে পারে ভারতে? মুখ খুলল কেন্দ্র

 

চিনে দাপাচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস তথা এইচএমপিভি। তাহলে কি করোনার পর নতুন মহামারীর প্রাদুর্ভাব হবে? নেটদুনিয়া তোলপাড় এই প্রশ্নে। আশঙ্কা, এবার কি ভারতেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে ওই ভাইরাস? এবার এই নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র।


HMPV বা হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন বছরের শীতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। শিশু ও প্রবীণরা এই ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি শিকার।

HMPV ভাইরাসের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:

অতিরিক্ত গুরুতর পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

HMPV ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম হলো কাশি এবং হাঁচি। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা হ্যান্ডশেক করলেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মুখে বা নাকে হাত দেওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে এখনও পর্যন্ত HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এই ধরনের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। সিকে বিড়লা হাসপাতালের ডাঃ কুলদীপ কুমার গ্রোভার বলেন, 'ভারতে প্যানিক করার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি। তবে জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো অভ্যাস মেনে চলা উচিত।'

'ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল'-এর তরফে ড.অতুল গয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে এই ভাইরাসে কেউই সংক্রমিত হননি এখনও। তাঁর দাবি, এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটানো ভাইরাস। যা শরীরে সাধারণ সর্দিকাশির সৃষ্টি করে। শিশু ও বয়স্কদের শরীরে এর ফলে ফ্লু-এর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়ে সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করতে। কারও ঠান্ডা লাগলে তিনি যেন অন্যদের খুব কাছাকাছি না যান। এবং সর্দি লাগলে সাধারণ ওষুধ খেলেই যথেষ্ট বলেই জানিয়েছেন তিনি। 

কিন্তু যদি আচমকাই এই ধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়? করোনা আমলে হাসপাতালে বেডের অপ্রতুলতা ও অন্যান্য সমস্যার কথা কেউই ভোলেননি। কিন্তু ড. গয়াল সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, শীতকালে এমনিতেই এই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে। আর সেজন্য দেশের হাসপাতালগুলি প্রস্তুত থাকে।

প্রসঙ্গত, সোশাল মিডিয়ায় গুঞ্জন, চিনে নাকি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভিড় জমছে হাসপাতাল ও কবরখানায়! কিন্তু সরকারি ভাবে এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করা হয়নি। মূলত ফুসফুসে হানা দিচ্ছে এই ভাইরাস। বাড়ছে নিউমোনিয়া এবং হোয়াইট লাং। কেবল ওই ভাইরাসই নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়াও বাড়ছে। এবং গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিড ভাইরাসেও। সোশাল মিডিয়ায় নানা ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সব ভিডিওয় হাসপাতালে ভিড় করা মানুষের অসহায় অবস্থান দেখলে আতঙ্ক জাগে। যদিও এই ধরনের ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। আর এই ভিডিও ঘিরেই শুরু হয়েছে চর্চা। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করল কেন্দ্র।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন