সাত সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্প। মঙ্গলবার শীতের সকালে যখন ভাল করে ঘুম ভাঙেনি শহরবাসীর, তখনই আচমকা কেঁপে ওঠে কলকাতা ও আশপাশের এলাকা। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও অনুভূত হয়েছে প্রবল কম্পন। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ। প্রায় ১ মিনিট ধরে অনুভূত হয় কম্পন। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, পড়শি রাজ্য বিহারেও ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। অন্যদিক, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষ এদিন কম্পন অনুভব করতে পারেন। সাত সকালে ঠিক কী হয়েছে, তা বুঝে ওঠার আগে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অনেকে।
সূত্রের খবর, ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, এমনকী চিনও কেঁপে উঠেছে এই ভূমিকম্পে। কম্পন থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা অনেকটাই বেশি। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.১। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নেপালের লোবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই কম্পনের উৎসস্থল। গভীরতা ১০ কিলোমিটার।
উৎসস্থলে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভূমিকম্পে প্রবল ক্ষতির অভিজ্ঞতা সদ্য কাটিয়ে উঠেছে নেপাল। ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সে দেশের একটা বড় অংশ। কয়েক মিনিটের সেই কম্পনে প্রায় ৯,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। সেই সময়েই কলকাতা সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অনুভূত হয়েছিল কম্পন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে ছিল। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৭.১। ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে সেটা সাধারণত ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে থাকে। তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ইউএসজিএস সিসমোলজি অনুসারে, উপকেন্দ্র ছিল লোবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
এর আগে গত মাসে অর্থাৎ ২১শে ডিসেম্বর নেপালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়েছে ৪.৮।
২০২৫ সালের এপ্রিলে, নেপালে ৭.৮ মাত্রার একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে, আনুমানিক ৯ হাজার মানুষ নিহত এবং আনুমানিক ২২ হাজার অন্যান্য আহত হয়। এটি ৮ লাখ রও বেশি বাড়ি এবং স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন