রাজ্য বাজেট পেশ করা হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। যা তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তথা তৃতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হবে। ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আছে। ফলে এবার বাজেট নিয়ে প্রবল প্রত্যাশা আছে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাজ্যের বাজেট পেশ করা হবে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। আর দু'দিন পরেই বাজেট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা তৃতীয় মমতা সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হতে চলেছে। কারণ আগামী বছরই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট আছে। ২০২৬ সালে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট বা ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পেশ করা হবে। সেই পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এবার কোনও বিশেষ কোনও ঘোষণা করা হয় কিনা, সেদিকে নজর আছে সব মহলের।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কি বড় চমক থাকবে?
একাংশের ধারণা, এবারের রাজ্য বাজেটে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের উপরে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবা ভাতা, বাংলার বাড়ির মতো যে প্রকল্প চালু আছে, তাতে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে। চমক থাকতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রেও। আবার নয়া সামাজিক প্রকল্পের ঘোষণা করারও সম্ভাবনা আছে। কর্মসংস্থান, পরিকাঠামো এবং শিল্প নিয়ে বড় কোনও ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সফল স্ট্র্যাটেজিতেই ভরসা মমতাদের?
ওই মহলের মতে, প্রবল চাপের মধ্যেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যে বাজিমাত করেছিল, সেটার নেপথ্যে মহিলা ভোটের বড় অবদান ছিল। বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পেরও অবদান নেহাত কম ছিল না। আর যে স্ট্র্যাটেজিতে সাফল্য এসেছিল, তাতে ভরসা করেই আগামী বছর বিধানসভা ভোটে মমতারা নামতে পারেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বাজেটে কি মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হবে?
সেইসঙ্গে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) বাড়ানো হবে কিনা, সেদিকে নজর আছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। গত দু'বারের বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারও সেই আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এমনকী কেন্দ্রীয় হারে ডিএয়ের দাবিতে আজ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ রাস্তায় নেমেছেন, তার আগে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, এভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে চাপ বাড়ালে তবেই রাজ্য সরকার বাজেটে ডিএ বৃদ্ধি করতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন