বাংলাদেশে অসন্তোষের ক্ষোভ যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর মুসলিমদের অত্যাচার যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর মুসলিমদের অত্যাচারের এই আশঙ্কা যেন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। তার উপর বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মুসলিমদের জনসংখ্যা। কমছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা।
যার ফলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ২০৫০ সালের মধ্যে হয়ত গোটা বিশ্ব জুড়ে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের রাজ চলবে।
২০৫০ এ মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৭৩ শতাংশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পি ইউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষার একটি বিশেষ রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে ভারতে হু হু করে বেড়েই চলেছে মুসলিম জনসংখ্যা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে হিন্দু নাগরিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত বিশ্বের মধ্যে ভারতই হবে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম বসবাসকারীদের দেশ। এক ধাক্কায় ২০ কোটি থেকে ৩০ কোটি হতে পারে মুসলিম জনসংখ্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই জনসংখ্যা নির্ণায়ক সংস্থার সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০৫০-এর মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। আর সেই রিপোর্ট মোতাবেক, ২০১০ সালে গোটা বিশ্বে ১.৬ শতাংশ মুসলিম এবং ২.১৭ শতাংশ ইহুদি মানুষ বসবাস করতেন। সেই সংখ্যা এইমুহুর্তে বাড়তে বাড়তে ২০৫০ সালের মধ্যে সব মিলিয়ে বাড়বে ২.৮ শতাংশ। আর তাতেই চিন্তিত প্রশাসন।
মৃত্যুর হারের চেয়ে মুসলিমদের প্রজনন ক্ষমতা বেশি
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন এর রিপোর্ট সূত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের প্রজনন হার খুবই বেশি। যার ফলে তাদের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এমনকি মৃত্যুর হারও নিম্নমুখী। এমনকি রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে যে বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের কম। ৬০ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। আর বাকি মাত্র ৭ শতাংশের বয়স ৬০ বা তার বেশি রয়েছে। ভারত এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। তবে ভারত ছাড়াও আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ বলে অনুমান করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন