সম্প্রতি পঞ্জাবের পাটিয়ালা ভাকরা ক্যানাল থেকে উদ্ধার হওয়া যুবতীর মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। মৃত ওই যুবতীর নাম নিশা। তিনি আদতে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার যোগিন্দর নগরের বাসিন্দা। ২২ বছর বয়সী ওই যুবতীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ওই মেয়েটির পরিচয় জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি শেয়ার করা হয়েছিল।
এরপর নিশা খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির তাঁর ৩৩ বছর বয়সী প্রেমিকের বিরুদ্ধে। তিনি আবার পেশায় একজন পুলিশকর্মীও বটে!প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, মান্ডি জেলার যোগিন্দর নগরের মসৌলি পঞ্চায়েতের সেরু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিশা। তবে বিগত তিন বছর ধরে তিনি চণ্ডীগড়েই থাকছিলেন। সেখানে বিমানসেবিকা হিসেবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। গত সপ্তাহেই যোগিন্দর নগরে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন নিশা। এরপর সোমবার তাঁর চণ্ডীগড় ফেরার কথা ছিল। এদিকে চণ্ডীগড়ে ফিরে এক বন্ধুর সঙ্গে তিনি পিজি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় থেকে তাঁর ফোন স্যুইচড অফ ছিল। এরপর মঙ্গলবার রাজ্যের নাঙ্গাল খাল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে নিশার দেহ। পুলিশ সেই দেহ হেফাজতে নিয়ে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। আর দেহ শনাক্ত করার পরেই তাঁর পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের হাতে নিশার দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। মান্ডির এএসপি সাগর চন্দ্র বলেন যে, নাঙ্গাল পুলিশের কাছ থেকে ওই তরুণীর মৃত্যুর খবর পেয়েছে যোগিন্দর নগর পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল নিশার?
পাটিয়ালা সঙ্গরুর রোডের ভাকরা খাল থেকে নিশার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর প্রেমিক যুবরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এরপরেই তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। মোহালি পুলিশে রয়েছেন যুবরাজ। চণ্ডীগড়ে বিমানসেবিকা হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছিলেন ২২ বছর বয়সী নিশা। সেই কারণে সেক্টর ৩৪-এর একটি পিজি-তে থাকতেন তিনি। যদিও তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, রোপারে পাথরেড়ি গ্রামের কাছে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে তাঁকে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
প্রেমিকের সঙ্গেই গিয়েছিলেন নিশা:
গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের প্রেমিকের সঙ্গেই পিজি থেকে বেরিয়েছিলেন নিশা। এরপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভাকরা খালে তাঁর মৃতদেহের সন্ধান মেলে। ভোলে শঙ্কর ড্রাইভার্স ক্লাবের একটি দল সেই দেহ উদ্ধার করে। পরে ২২ জানুয়ারি সকালে পাটিয়ালার রাজিন্দ্র হাসপাতালে গিয়ে নিশার পরিবারের সদস্যরা দেহটি শনাক্ত করেন। এরপর রূপনগর জেলার থানা সিং ভগবন্তপুরের পুলিশের দল গিয়ে দেহটি নিয়ে আসে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে, ফতেহগড় সাহিবের বাসিন্দা যুবরাজের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল নিশার। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে, গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যুবরাজের সঙ্গেই যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। যদিও পরে তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেই নিশার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন