আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজার দাবি। সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টে রাজ্যের মামলা। আর রাজ্যের দায়ের করা সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সাজা বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের আবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য, প্রশ্ন তোলে বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানতে চায়, নির্যাতিতার পরিবার কি জানে যে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে? তাদের ছাড়া কি বিচারপ্রক্রিয়া চালানো সম্ভব? প্রশ্ন তোলে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টে এদিন একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। বিচারপতি বসাক বলেন, আমরা পরিবারের বক্তব্যও শুনতে চাই। রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চায়, 'আমরা যদি পরিবার কি ভাবছে সেটা জানতে চাই তাহলে কি আপনাদের কোনও অসুবিধা আছে? আজকের মধ্যে তাঁদের জানানো সম্ভব'। রাজ্য জানায়, সম্ভব। বিচারপতি বলেন, 'আমরা তাদের বক্তব্যও শুনতে চাই'। তারপর এই মামলার শুনানি আগামী সোমবার হবে বলে জানানো হয়।প্রসঙ্গত, গতকালই আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি। সোমবার আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস।
মৃত্যুদণ্ডের বদলে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজার ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ। যদিও সিবিআই দাবি জানিয়েছিল ফাঁসির। সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পরই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা স্পষ্ট জানান, 'আমি রায়ে সন্তুষ্ট নই!' সোশ্যাল মিডিয়ায় নিম্ন আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফাঁসির সাজার দাবিতে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর জেলা সফরে বক্তব্য রাখতে গিয়েও নিম্ন আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফাঁসির দাবিতে সরব হন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন