Top News

"ক্ষতিপূরণ চাই না, বিচার চাই"... আদালতে কাতর অনুরোধ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

 


মৃ ত্যুদণ্ড নয়, আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় অপরাধী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারদণ্ডের সাজা। ঘটনার পাঁচ মাস ১১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে, অনায়াদায়ে হবে আরও ৫ মাসের জেল। এছাড়াও পরিবারকে ১০ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ ও কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে।


এ কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা অবশ্য জানান, ক্ষতিপূরণ চাই না। তাঁর উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, 'আপনি মনে করবেন না টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে এমন বলা হলে আমিও তাই করতাম। কিন্তু নিরাপত্তা দেওয়া এটা রাজ্যের দায়িত্ব। তাই ফাইন করা হয়েছে। এটা নিয়ম।' পাল্টা উত্তরে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'আমি মেয়ের জন্য বিচার চাইছি।' সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়ে বিচারক নিজের আসন ছেড়ে উঠলেও আদালতে নিজেদের আসনে থম মেরে বসে থাকতে দেখা যায় নির্যাতিতার মা-বাবাকে। দু'জনেরই চোখ লাল। খানিক বাদে নিজের আসন ছেড়ে উঠে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় নির্যাতিতার বাবাকে।

আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয়ের ফাঁসিই চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা, মা। শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণা করার পরেই সে কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন তাঁরা। সঞ্জয়ই একা দোষী নয় দাবি করে বাকিদেরও শাস্তি চেয়েছিলেন দু'জনে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সঞ্জয়েরও ফাঁসি চান তাঁরা। োকিন্তু এদিন তা হয়নি। বিচারক সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই শাস্তি শোনার পরেই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যান নির্যাতিতার বাবা ও মা। চোখের জল ধরতে না পেরে কেঁদেই ফেলেন তাঁরা।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন