আর এহেন মন্তব্যের পরই রাজনৈতিকমহলে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছে। এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে শাসকদল তৃণমূল। তাদের দাবি, নৃশংস এই ঘটনার প্রথমদিন থেকে বিরোধীরা নোংরা রাজনীতি করে যাচ্ছে। কিন্ত্য ঘটনার পর প্রথম= কলকাতা পুলিশই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, ফাঁসির দাবি জানিয়ে পথে নেমেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেও কীভাবে বাম নেতা এহেন মন্তব্য করেন তা নিয়ে প্রশ্ন এক শাসকনেতার।
এদিনের এই জেলা সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তণ মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, জেলা সিপিএমের সম্পাদক সমন পাঠক, আহ্বায়ক জীবেশ সরকার সহ একাধিক বর্ষীয়ান বাম নেতা। এদিন সম্মেলনের পর আদিবাসীদের সঙ্গে আদিবাসী নাচেও পা মেলাতে দেখা যায় মহম্মদ সেলিমকে।
সম্মেলণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরজিকর কান্ডে সঞ্জয় রায়ের হওয়া সাজার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে মহম্মদ সেলিম বলেন, আমরা বললাম চোর ধর। আর রাজ্য সরকার আর সিবিআই চোর পুলিশ খেলা শুরু করে দিল। আমরা বলেছিলাম গণধর্ষণ হয়েছে। সেজন্য বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছিলাম বলেও এদিন মন্তব্য করেন বাম নেতা।
তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ যে দোষীর ফাঁসি হল না, তার কারণ তিনি চেয়েছিলেন ওপেন এন্ড শাট কেস। আর ভাইপোও তাই চেয়েছিল যে এনকাউন্টারে মেরে ফেলতে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই সেমিলের আশঙ্কা, এখনও জেলে মেরে ফেলে দিতে পারে। এজন্য সজাগ থাকতে হবে সবাইকে, তারা ভেবেছিল না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশি।এ কজনকে যদি খুন করে দেওয়া যায় তাহলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত সোমবার আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনায় আদালত। আর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফাঁসির আবেদন জানিয়েছে। একই সঙ্গে আজ শুক্রবারও সিবিআই সঞ্জয়ের মৃত্যুদন্ডের দাবি জানিয়ে আদালতে গিয়েছে। আগামী সোমবার সমস্ত মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন