বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের সাথে সংঘাতে লিপ্ত থাকার পরিস্থিতিতেই সেখানে গরুর মাংস নিয়ে রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।
অর্থাৎ, সব রেস্তোরাঁ এবং হোটেলগুলিতে পরিবেশিত খাবারে গরুর মাংস যোগ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। না হলে, সেই রেস্তোরাঁগুলিকে বয়কট করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।ঢাকায় হিন্দু ব্যবসায়ীদের এভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশে সংরক্ষণনীতি বিরোধী সহিংসতার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত আগস্ট থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি অভূতপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এই পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসকেই দায়ী করা হচ্ছে। অর্থাৎ, দেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং মন্দিরে হামলার ঘটনা প্রতিহত না করে তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। ইস্কনের প্রাক্তন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, ওরফে চন্দন কুমার ধর, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে দেশজুড়ে অরাজকতার অভিযোগ উঠেছে। মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারে ছাত্র সংগঠনের লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, এই সরকারের অনেক সদস্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছেন। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের আহ্বান উপেক্ষা করেছে বাংলাদেশ।
এর ফলে হিন্দুদের ওপর দমন-পীড়ন বাংলাদেশে বাড়ছে। সম্প্রতি একটি উদ্বেগজনক খবর প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকার গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের কাছে ‘মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এই র্যালির সময় হিন্দু হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের হুমকি দেওয়া হয়।
র্যালিতে বলা হয়, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে গরুর মাংস পরিবেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলাদেশে গরুর মাংস জনপ্রিয় খাবার হওয়ায় সব রেস্তোরাঁর মেনুতেও তা রাখা উচিত। অন্যথায়, সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ বয়কট করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন। এদের মধ্যে কিছু হিন্দু রেস্তোরাঁ চালান, যারা গরুকে দেবতা হিসেবে দেখেন বলে মাংস বিক্রি করেন না। কিন্তু এখন তাদেরও গরুর মাংস মেনুতে যোগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। খবর অনুযায়ী, ইতোমধ্যে কয়েকজন এই নিয়ম মানতে শুরু করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন