আ রজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকের মর্মান্তিক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন প্রশ্ন উঠছে। সিবিআই চার্জশিট এবং সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্সেস ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) রিপোর্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে, ধৃত সঞ্জয় রায় ছাড়া আরও পাঁচ জনের উপস্থিতি চিহ্নিত হলেও তাঁদের পরিচয় অজ্ঞাত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা চার ব্যক্তির মধ্যে একজন চিকিৎসক বলে অনুমান করা হলেও তাঁকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
সিবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাত ২:৩০ থেকে ভোর ৫:৫১ পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমের দিকে ৬৮ বার যাতায়াত করতে দেখা গেছে পাঁচ জনকে। ধৃত সঞ্জয় রায় তিন বার ঢুকতে ও বের হতে দেখা যায়। কিন্তু বাকি চার জনের মধ্যে একজনের গলায় স্টেথোস্কোপ থাকায় তাঁকে চিকিৎসক বলে অনুমান করা হলেও তাঁদের পরিচয় এখনও অজানা।
সিএফএসএল রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতার শরীর থেকে পাওয়া নমুনায় সাত জনের ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নির্যাতিতাসহ দু'জন মহিলা এবং সঞ্জয় রায়সহ পাঁচ জন পুরুষ। এই নমুনায় মিশ্র ডিএনএ পাওয়ার কারণে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও সংগঠনগুলোর দাবি, সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করেনি। তাঁদের প্রশ্ন, হাসপাতালের ডিউটি রোস্টার বা কর্মীদের থেকে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। তা সত্ত্বেও কেন তদন্তের এই স্থবিরতা?
জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে দাবি করা হয়েছে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের সভাপতি কৌশিক চাকীর অভিযোগ, সিবিআই তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এই ঘটনায় সঠিক অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আরও ফরেন্সিক পরীক্ষা ও সিসিটিভি ফুটেজের বিশ্লেষণ জরুরি। হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ফুটেজে দেখা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করারও দাবি উঠেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন