স্যালাইন-কাণ্ড শেষ অবধি গড়াল হাই কোর্টে। দু'টি জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। স্যালাইন-বিতর্ক নিয়ে সোমবার দু'টি জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। দু'টি মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
এডুলজির মামলাটি আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।সোমবার(১৩ জানুয়ারী)এডুলজি হাই কোর্টে জানান, এরম ঘটনা আগেও ঘটেছে। রাজ্যের এক সংস্থার খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি এ রাজ্যেও খারাপ স্যালাইন ব্যবহারের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান তিনি। এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে।'
সম্প্রতি হাসপাতালের স্যালাইনে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছিল আরও চার জন। এর জেরে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতাল। এবার এই ঘটনার নিরিক্ষে হাসপাতালে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের ১৩ জনের প্রতিনিধি দল। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবার।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিম্নমানের স্যালাইন ও ওষুধপত্র ব্যবহার করা হয়েছে রোগীদের। স্যালাইনের বোতলে ছত্রাকও মজুত ছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। তার মধ্যেই মারা যান মামনি রুইদাস(২০) নামে এক প্রসূতি। অসুস্থ হয়েছেন আরও চারজন।
কীভাবে এই গাফিলতির ঘটনা ঘটল? তা নিয়েই স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী আধিকারিকরা গোটা বিষয় নিয়ে বৈঠকও করেন। এদিকে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই গাফিলতির জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সবমিলিয়ে এই ঘটনা ঘিরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন