Top News

আরজি করে ধৃত সিভিকের পক্ষে ৩ টি সওয়াল আইনজীবীর! সঞ্জয় কি বলির বকরা? জানুন বিস্তারিত

 


আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বেকসুর খালাসের দাবি তুললেন তাঁর আইনজীবীরা। শিয়ালদহ আদালতে চলমান এই মামলায় অভিযুক্তের পক্ষ থেকে একাধিক যুক্তি পেশ করা হয়েছে, যা গোটা মামলাকে নতুন মোড় দিতে পারে। অভিযুক্তের আইনজীবীদের দাবি, এই ঘটনা সাজানো এবং তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।


১. ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই


অভিযুক্তের আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, নির্যাতিতার শরীরে কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের চার্জশিট অনুযায়ী, অভিযুক্ত নির্যাতিতার উপর ছিলেন। তাহলে নির্যাতিতার পোশাক ছিঁড়ে যাওয়া কিংবা শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা। তবে সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি।


২. অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ মেলেনি


ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের কোনও আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের হেডফোন পাওয়া গেলেও, সেটি পরবর্তীতে সাজানো হতে পারে বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা।


৩. এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়


নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতে জানিয়েছেন, এই ঘটনা এক জনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। সিবিআই যে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চার্জশিট দাখিল করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।


সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধৃত সিভিককে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থার আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। তদন্তে প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ এবং ঘটনাস্থলে অভিযুক্তের উপস্থিতি তাদের যুক্তির প্রধান ভিত্তি।


হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তের উপস্থিতি স্পষ্ট। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের হেডফোন পাওয়া গেছে। এই সব তথ্যকে প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।


গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ সামনে আসে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়।


আজ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্তিয়ারের আইনজীবী বলেন, ''এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো ঘটনা। আদালতে আমরা সেটাই বলেছি। অভিযুক্ত কিছুই করেননি। ওঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা ওঁর বেকসুর খালাসের দাবি জানিয়েছি।'' কেন মনে হচ্ছে অভিযুক্ত নির্দোষ? আইনজীবী বলেন, ''নির্যাতিতার শরীরে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। সিবিআই তো বলছে, ঘটনার সময়ে অভিযুক্ত নির্যাতিতার উপরে ছিলেন। তা হলে তো তাঁর শরীরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকা উচিত। জামা ছিঁড়ে যাওয়া উচিত। তেমন কিছু তো হয়নি। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপও মেলেনি। হতে পারে পুরোটাই পরে সাজানো হয়েছে।''


এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ এবং ঘটনাস্থলের প্রাপ্ত প্রমাণ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অনড় CBI। বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই অভিযুক্তের আইনজীবীদের বক্তব্যের জবাব দেবে। মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্তের উপর। অভিযুক্তের মুক্তি নাকি সর্বোচ্চ শাস্তি, তা সময়ই বলবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন