Top News

সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা যাবে না, হুঙ্কার বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

 


রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই বাংলাদেশে নখ-দাঁত বের করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কট্টর মৌলবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। সেই তালিকায় অন্যতম নাম ইসলামী আন্দোলন। কট্টর হিন্দু ও মহিলা বিদ্বেষী সংগঠনটির অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা সিনিয়র নায়েবে আমির ফয়জুল করিম শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশ্য সমাবেশ থেকেই হুঙ্কার ছেড়েছেন, 'সংসদে মহিলাদের জন্য কোনও আসন সংরক্ষিত রাখা যাবে না।

মহিলাদের দায়িত্ব বোরখা পড়ে ঘর-সংসার সামলানো। ওই কাজই করতে হবে।' ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতার এমন হুঙ্কারে সিঁদূরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের নারীবাদী সংগঠনের সদস্যরা।


প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুসেন মুহাম্মদ এরশাদের জমানায় ৩০০ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য বাড়তি ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই সংরক্ষিত আসনে নিজেদের প্রার্থীকে মনোনীত করতে পারতেন। পরে শেখ হাসিনার জমানায় ৩০ আসনকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। ক্ষমতার পালাবদলের পরেই নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার কমিশন গঠন করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে, দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু করা হোক। সেই সঙ্গে মহিলাদের জন্য ১০০ আসন সংরক্ষিত রাখা হোkক।

ওই সুপারিশ জানতে পেরেই মেজাজ বিগড়েছে কট্টর মৌলবাদী নেতা তথা নারী বিদ্বেষী ফয়জুল করিম। শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত এক সভায় নারী সংরক্ষণের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়ে তিনি বলেন, 'মহিলাদের জন্য ১০০ আসন তো দূরের কথা, একটি আসনও সংরক্ষিত করা যাবে না। কোটার বিরুদ্ধে জুলাই-অগস্টে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাছাড়া করেছি। সেই কোটা ব্যবস্থা কোনও ভাবেই মেনে নেব না। এখানে মহিলাদের জন্য কোটা রাখা হলে বলতে হবে, আন্দোলন সফল হয়নি। নারীদের জন্য কোনও কোটা থাকবে না।' নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার দল বিএনপি'র তাগাদারও সমালোচনা করেছেন ফয়জুল। তাঁর কথায়, 'সংস্কারের পরেই নির্বাচন হবে। আজ যারা সংস্কারে বাধা সৃষ্টি করেছেন, আমি বলব ১৬ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন? প্রতিবার ঈদের পর আন্দোলন হবে বলেছেন। হাজারো ঈদ চলে গেল আপনারা কিছু করতে পারেননি। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের ভিত্তিতে যে অর্জন, সেটিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছেন।'


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন