জ্বলছে বাংলাদেশ! প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। অবিলম্বে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধে এবার গর্জে উঠল আরএসএস। পাশাপাশি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তির দাবিতে জোরালো সওয়াল তুলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পড়শি দেশে অমানবিক অত্যাচার হচ্ছে হিন্দুদের উপর।
ভারত সরকারের উচিত, হিন্দুদের বাঁচাতে সম্ভাব্য সমস্তরকম পদক্ষেপ করা। বিবৃতি দিয়ে আরজি জানাল সংঘ।আরএসএস-এর তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, 'ভারত এবং বিশ্বের সকল সংস্থার উচিত এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সমর্থন করা। বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের জন্য এটা জরুরি'। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) শনিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে হিন্দুদের উপর অবিলম্বে অত্যাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে জেল মুক্তির দাবিও জানানো হয়।
আরএসএস সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে, একটি বিবৃতিতে, ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার এবং তাদের সমর্থনে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, নারী ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর ইসলামি মৌলবাদীদের হামলা, হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক নৃশংসতার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এর তীব্র নিন্দা জানায়।
বাংলাদেশ সরকার নীরব দর্শক
হোসাবলে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য সংস্থা তাদের হিংসা বন্ধের পরিবর্তে নিছক নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আরএসএস সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও নৃশংসতার একটি নতুন যুগের উত্থান হচ্ছে।
হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেলে পাঠানো অন্যায়
তিনি বলেন যে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেলে পাঠানো অন্যায়, যিনি হিন্দুদের অধিকার রক্ষার্থে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় আটক করে বাংলাদেশ পুলিশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন