![]() |
Justice for RGKar |
তিলোত্তমা-কাণ্ডের তদন্তে মোড় ঘোরাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক রিপোর্ট। নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত এবং বিভিন্ন নমুনার ডিএনএ বিশ্লেষণ থেকে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখনও অনুত্তরিত, যা তদন্তে জটিলতা বাড়াচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে দিল্লি এইমসের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা |
আদর্শ কুমারের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, তিলোত্তমার দেহে পাওয়া বিভিন্ন আঘাত এবং নমুনা বিশ্লেষণে বোর্ডের বিশেষজ্ঞরা একাধিক অসঙ্গতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্ত বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার যোনিদ্বারে মিলেছে সাদা গাঢ় আঠালো রস। সেটা আসলে কী? ফ্লুইড নাকি যৌনাঙ্গের তরল? যদি বলে দেওয়া থাকত ভাল হত। স্তন বৃন্তের কামড়ের দাগ পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে Y ক্রোমোজম মিলেছে। তাহলে ওখানে একজন পুরুষ ছিল যে ব্রেস্টে কামড়ের দাগ বসিয়েছে। সেটা প্রমাণ হচ্ছে।”
ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদারের মতে, স্তনবৃন্তের নমুনা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে। তবে চারটি অটোসোমাল মার্কার (D12S391, D10S1248, D2S441, D16S539)-এ অন্য পুরুষদের ডিএনএ মিলেছে। যোনিদ্বারের নমুনায় অন্য এক মহিলার উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছে, যার জেনোটাইপ D12S391 মার্কারে স্পষ্ট।
কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভ্যাজাইনাল সোয়াবে সিমেনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তে "ফোর্সফুল পেনিট্রেশন"-এর উল্লেখ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য:
সিবিআইয়ের তদন্তের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সিবিআইয়ের প্রশ্নের সূত্র ধরেই একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা আরও দৃঢ় হয়েছে।
অজয় গুপ্তর মতে, স্তনবৃন্তের কামড়ের দাগে Y ক্রোমোজম পাওয়া গেছে, যা পুরুষের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, পার্থপ্রতিম মজুমদার জানান, নমুনা বিশ্লেষণে ধৃত সিভিক ছাড়াও আরও চারজন পুরুষ এবং এক মহিলার উপস্থিতি স্পষ্ট।
তদন্তের ভবিষ্যৎ:
এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলকে আরও গভীর বিশ্লেষণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞ বোর্ড ডিএনএ অ্যানালিসিস এবং ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পুনর্নিরীক্ষণের সুপারিশ করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন