বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে নেমে উঠে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পুরসভার নাম। অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলি থেকে জারি করা বার্থ সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে ভুয়ো পাসপোর্ট। এবার সেই তালিকায় নাম উঠল বনগাঁ পুরসভার। অভিযোগ, বনগাঁ পুরসভা থেকে জারি হওয়া বার্থ সার্টিফিকেট দিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ভুয়ো পাসপোর্ট। তবে অন্যদের মতোই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। তাঁর দাবি, বনগাঁ পুরসভা থেকে এই বার্থ সার্টিফিকেটগুলি জারি হয়নি। সেগুলি জাল |
ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের পথ বনগাঁ লাগোয়া পেট্রাপোল বন্দর। সেখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পার করেন। অভিযোগ, সীমান্ত পার করেই দালালদের মাধ্যমে সামান্য কিছু টাকা খরচ করে তারা হাতে পেয়ে যান বার্থ সার্টিফিকেট। বনগাঁ পুরসভা থেকে জারি সেই সব জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে পরে তারা তৈরি করে নেন অন্যান্য ভারতীয় নথি। স্থানীয়দের দাবি, পুরসভার কর্মীদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজস করে এই কাজ করেন দালালরা। সেজন্য টাকার ভাগ পান পুরসভার ওই কর্মীরাও।
তবে বাংলাদেশিদের বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। তাঁর দাবি, অবৈধভাবে কাউকে বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ শহরের হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে যে শিশুদের জন্ম হয় শুধুমাত্র তাদেরই বার্থ সার্টিফিকেট জারি হয় পুরসভা থেকে। এছাড়া জারি হওয়া সমস্ত বার্থ সার্টিফিকেট জাল। ওই সার্টিফিকেট পুরসভা থেকে জারি হয়নি। বাইরে কেউ জালিয়াতি করে বানিয়ে থাকতে পারে। তেমনটা হলে তা ধরার দায়িত্ব গোয়েন্দা বিভাগের। এতে পুরসভার কিছু করার নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন