কানপুরের শিবরাজপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুনের মামলা জটিল হয়ে উঠেছে। প্রেমিকা জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন। বান্ধবী ফোন করার পরই সে সমোসা, চকলেট ও মাথাব্যথার ওষুধ খেয়েছিল।
কানপুরের শিবরাজপুর গ্রামে এক কিশোরী ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা জটিল হয়ে উঠেছে।
আটক প্রেমিক ফেসবুকের মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। এরপরই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। শুক্রবার রাতে বান্ধবী তাকে ডাকার পরই তিনি সমোসা, চকলেট ও মাথাব্যথার ওষুধ খেয়ে চলে যান।
সারা রাত তিনি বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন। শনিবার সকালে তিনি নিজ বাড়িতে যান। ওই যুবক জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মালপত্র নিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছান, সেখানে সারা রাত থাকেন। এসময় তার সাথে শারীরিক সম্পর্কও হয়।
ওই সময় মেয়েটির ঠান্ডা লাগছিল তাই সে আগুনের ব্যবস্থাও করেছিল। সকাল সাড়ে তিনটার দিকে ভালো অবস্থায় রেখে তিনি সেখান থেকে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে বান্ধবীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
তিন চিকিৎসকের প্যানেল ভিডিওগ্রাফি করে পোস্টমর্টেম করেন
রোববার তিনজন চিকিৎসকের একটি প্যানেল ভিডিওগ্রাফি করে তরুণীর ময়নাতদন্ত করেন। রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হওয়ায় হার্ট ও ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের আশঙ্কায় স্লাইডও করা হয়েছে।
প্রেমিকা বাড়ি থেকে 20 কিলোমিটার দূরে থাকে
ডিসিপি জানিয়েছেন, প্রেমিক ছাত্রীর বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নেভাদা গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৩টায় তিনি যখন যান, তখন ওই ছাত্রী জীবিত ছিল। এমতাবস্থায় এখন শুধুমাত্র ভিসেরা রিপোর্টেই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট করা যাবে। তাই পুলিশের ভিসেরা পাঠানো হবে ঝাঁসির ফরেনসিক ল্যাবে।
এই ঘটনা ছিল
শুক্রবার শিবরাজপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা এক কৃষক তার মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে আত্মীয়ের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরিবারসহ আশালগঞ্জ কানপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায়, তিনি তার বড় ভাইয়ের পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন, যিনি পাশের অন্য বাড়িতে থাকেন, তার সাথে ঘুমাতে। শনিবার সকালে খাটের ওপর অর্ধনগ্ন অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন