Top News

ভারতে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে ব্যাপক হারে মুসলিমদের ঢোকাচ্ছে বাংলাদেশ, আসামে ধরা পড়ল ২৪ অনুপ্রবেশকারী

 


সংখ্যালঘু নির্যাতনের আবহে হিন্দুদের দেশত্যাগ রুখতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক নজর রাখলেও ব্যাপক হারে মুসলিমদের ভারতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে । বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনে গঠিত মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে । এভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম,ত্রিপুরা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে । বিজেপি শাসিত আসাম ও ত্রিপুরার পুলিশের সতর্ক থাকায় অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ । 

গত ২২-২৩  ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী রাতে, আসাম পুলিশ অনুপ্রবেশকারীদের একটি বিশাল আন্তঃরাজ্য চক্রকে পাকড়াও করেছে । ১৬ জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে আসাম পুলিশ । আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,আসাম পুলিশ দ্বারা পরিচালিত একটি চমৎকার অভিযানে,১৬ জন অবৈধ বাংলাদেশি (৭ পুরুষ, ৪ জন মহিলা এবং ৫ শিশু) যারা বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রমণ করেছিল এবং দক্ষিণ সালমারা মানকাচারে এসেছিল, তাদের আটক করা হয় এবং তদন্তে তাদের নাগরিকত্ব বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করা হয়।  এই লোকদের সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ ধৃত বাংলাদেশিরা হল,

জাকির এসকে, মহম্মদ মেহেদী হাসান, রুমানা আক্তার, মহম্মদ রিজওয়ান হাওলদার, জামাল এসকে, বিউটি বেগম, মুন্নি বেগম, নুশরাত জাহান, রুস্তম এসকে, রুবেল কোরেশী, চাঁদ মিয়া ও ৫ শিশু । আসাম পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীরা বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিল এবং তারপরে বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় বাসে করে দক্ষিণ সালমারা পৌঁছেছিল।  তাদের আটক করা হয় এবং তদন্তের পর নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ফিরিয়ে দেয়।

২২ শে ডিসেম্বর রাতে, আসাম পুলিশ ৬ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় ভূখণ্ড অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় আটক করে। তাদের জাতীয়তা তদন্ত করে এবং নিশ্চিত করার পর, পুলিশ তাদের সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেয়। আটক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা হলেন মুস্তাফিজুর রহমান, কাব্বো ক্রুজ, মহম্মদ লেলিন মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম এবং মুক্তার হোসেন। একইভাবে, আসাম পুলিশ ২ অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলেন মাহাবুল হক ও শাহিনা আক্তার।

 উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উগ্র ইসলামপন্থী শক্তির অভ্যুত্থানের পর সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নৃশংসতা নজিরবিহীনভাবে বেড়ে গেছে । প্রতিবেদন অনুসারে, তথাকথিত ছাত্র আন্দোলনের নামে কট্টরপন্থী ইসলামি শক্তির দ্বারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে দেশে ২,২০০ টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এখনো সমানে ঘটে চলেছে । হিন্দুদের উপর নির্যাতনকে ধামাচাপা দিতে যেটা জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে ৩০-৪০ জন হিন্দুদের নিয়ে, জেলাভিত্তিক এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করবে স্থানীয় মুসলিম প্রভাবশালীরা । ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিজ এলাক থাকতে হলে তাদের কথা শুনতে হবে,এই হুমকি দিয়ে তাদের মিছিলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে । হিন্দুদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘ভালো আছি’ বলিয়ে জেলা ভিত্তিক মিছিল করাবে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি ও বিএনপি । আর সেটা গণমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হবে। এভাবেই ওই ইসলামি জঙ্গি দলগুলি বিশ্ববাসীকে দেখানোর চেষ্টা করবে যে বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালো আছে ।।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন