গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ এখন ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির হাতে । আর এর কুফল ভোগ করছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা । প্রতিদিন হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা,মন্দির ভাঙচুর, নারীরা যৌন নিপিড়নের শিকার হচ্ছে । ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে জাতীয় পতাকার অবমাননার মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে । ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হচ্ছে । এমনকি কাতার ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিযবুত, জামাত ইসলামি,বিএনপিসহ বাংলাদেশি ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলি ভারতকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে । বাংলাদেশের মুসলিমদের এই প্রকার ঘৃণ্য ব্যবহারে চরম ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা । চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তি ও বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে “বাংলাদেশ চলো” ডাক দিয়েছে আসামের হিন্দুরা ।
জানা গেছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতার এবং বাংলাদেশে চলমান হিন্দু-বিরোধী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আসামের শ্রীভূমি জেলার সুতারকান্দিতে ‘মার্চ টু বাংলাদেশ’ ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয় । রবিবার বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা ‘মার্চ টু বাংলাদেশ’-এর আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার হিন্দু ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে হাইলাকান্দি আদী কালি বাড়ীতে জড়ো হয়েছিল। বিএসএফ ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হিন্দুরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয় । বাংলাদেশ চলো অভিযান ঘিরে সুতারকান্দিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ।
#Assam
— Hindu Voice (@HinduVoice_in) December 1, 2024
News from #Sutarkandi of #Sribhumi district.
Today, angry Hindus called a rally ‘March to Bangladesh’.
The March is organised in protest of the ongoing anti-Hindu persecution in #Bangladesh.
Thousands of Hindus gathered near the India-Bangladesh international border.… pic.twitter.com/FpGBBTRtG6
এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের গেটে ভারতের জাতীয় পতাকা বিছিয়ে পদদলিত করে পতাকার অবমাননা করা হচ্ছে । আর বাংলাদেশি জিহাদিদের এই প্রকার ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হল হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (Asif Mahmood) । তার নির্দেশে বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় পতাকা অপমান করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে ভারতীয় পতাকার অবমাননা করা হচ্ছে । বাংলাদেশি জিহাদিদের এই ব্যবহারে চরম ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ডুয়েটের গেটে ভারতীয় পতাকার অবমাননার জের ধরে , ভারতের আইআইটি বোম্বে ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাবের সাথে থাকা বর্তমান সকল ধরনের এমওইউ ও চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে আইআইটি বোম্বে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে ডুয়েটের সাথে ভবিষ্যতে আর কোনো ধরনের জয়েন্ট ইভেন্ট করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এই খবর জানিয়েছেন ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাবের সভাপতি মহম্মদ মনিরুল ইসলাম । তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্টে লিখেছেন,’২০১৭ সাল থেকে ভারতের আইআইটি বোম্বে সাথে কাজ করে আসছিল ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাব। প্রতিবছর আয়োজিত হওয়া এশিয়ার বৃহত্তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎসব, Techfest এর বাংলাদেশ জোনাল আয়োজন করে আসছিল ডুয়েট। যেখানে মূল পর্বে বিশ্বের ১০ টির ও অধিক দেশ অংশ নেয়,এবং ডুয়েটের দল গুলো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছিল আইআইটি বোম্বে অর্গানাইজার থেকে। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা, গোলক ধাঁধা সমাধান করার রোবট, ক্লিনিং রোবট এর কাজ চলতো আইআইটি বোম্বে সাথে ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাব এর।’
তিনি লিখেছেন,’বাংলাদেশ থেকে কোনো দল আইআইটি বোম্বেতে যাওয়ার জন্যে ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাব থেকে ভেরিফাই হতে হতো। আজকের পর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাব। আসন্ন ২০২৪ আশরের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাব। কিন্তু ভারতের ভিসা সেন্টারে বর্তমানে ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাবের ৭ টি দলের ১০ জনের পাসপোর্ট পেন্ডিং রেখে দিয়েছে, বাকিদের কোনো অ্যাপয়েনমেন্ট দিচ্ছে না। ডুয়েট রোবটিক্স ক্লাবের কোনো ইমেইল এর উত্তর দিচ্ছে না এখন। না জানি ডুয়েট কে ভিসা সেন্টার থেকে Black listed করে দেওয়া হয়। আইআইটি বোম্বে কর্তৃপক্ষ, ডুয়েটে যারা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্যে আর্জি জানিয়েছে। ডুয়েটের সামনে পতাকা রাখার বিষয়টা কতটা যুক্তিযুক্ত আর আমাদের জন্যে কতটা সুফল বয়ে এনেছে, সেটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।’।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন