থামল ছন্দ, তাল কাটল তবলার। প্রয়াত উস্তাদ জাকির হোসেন, জানানো হল শিল্পীর পরিবারের তরফে। আমেরিকার হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন কিংবদন্তী তবলা-শিল্পী। ৭৩ বছরে প্রয়াত কিংবদন্তী তবলা-শিল্পী জাকির হোসেন। হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত জাকির হোসেন, পেয়েছিলেন ৪টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড।গভীর শোকপ্রকাশ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, রাজস্থানের মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌরের। কিংবদন্তী তবলা-বাদক আল্লা রাখার সন্তান উস্তাদ জাকির হোসেন।
জাকির হুসেনের প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘কিংবদন্তী তবলা মায়েস্ত্রো উস্তাদ জাকির হুসেনজি’র প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। অনবদ্য প্রতিভার জন্য উনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তবলা নামের বাদ্যযন্ত্রকে বিশ্বের দরবারে স্থান করে দিয়ে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় তিনি বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। যাঁর তবলার ছন্দে লক্ষ লক্ষ মানুষকে মুগ্ধ হয়েছে। গ্লোবাল মিউজিকের সঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মেলবন্ধনের নেপথ্যের অন্যতম কাণ্ডারী উস্তাদ জাকির হুসেন। ওঁর সৃষ্টি আগামী প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে। জাকিরজি’র পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।
জাকির হুসেন শুধু নিজের প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তবলাবাদকই নন, একদিকে আল্লা রাখার পুত্র হিসেবে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন যেমন, তেমনই পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে তালবাদ্যের নানা আঙ্গিক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন আজীবন। উস্তাদজির মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। তিনি লেখেন, ‘গভীরভাবে শোকাহত, দুঃখিত উস্তাদ জাকির হুসেনের এই অকাল মৃত্যুতে। মায়াস্ত্রো সর্বকালের সেরা তবলাবাদকদের মধ্যে অন্যতম। এই মৃত্যু দেশের এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা উস্তাজদির লাখ লাখ ভক্তের কাছে বিরাট বড় ক্ষতি। পরিবার ও প্রিয়জনদের জানাই সমবেদনা’।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন