Top News

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত ---"এক দেশ এক নির্বাচন"


 


'এক দেশ এক নির্বাচন' কার্যকর করার জন্য আরো এক ধাপ এগোলো কেন্দ্র | সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই নীতিকে অনুমোদিত করেছে | আগামী 13 ও  14 ডিসেম্বর লোকসভার কক্ষে বিজেপি সমস্ত সংসদদের উপস্থিত থাকার নিৰ্দেশ দিয়েছে | সংসদের চলতি অধিবেশনে এই বিলটি পাশ করতে চলেছে মোদী সরকার | 


চলতি বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি যুক্তি দেন, ঘন ঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। 


এই নিয়ম কার্যকর করতে অনেক দিন ধরেই একটু একটু করে পদক্ষেপ করতে শুরু করে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা এ দেশে চালু হলে, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে— সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত মার্চ মাসে কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে একই সঙ্গে একাধিক দফায় লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোটের মতো আঞ্চলিক নির্বাচনগুলিও ওই একই সময়ে করানোর কথা বলা হয়েছে।



যদিও একসঙ্গে সব নির্বাচন করার ব্যবস্থা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, এই নীতি আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিরোধী নেতৃত্বরা। 


তবে বিরোধীদের আপত্তি নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে না মোদি সরকার। চলতি অধিবেশনের ১৪তম দিনে এক দেশ এক ভোটের প্রস্তাবে সায় দিল গোটা ক্যাবিনেট। শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা হতে পারে সংসদে। উল্লেখ্য, আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। তার মধ্যেই মহাগুরুত্বপূর্ণ এই বিল পাশ করিয়ে নিতে চেষ্টা করবে সরকার। 


সূত্রের খবর, এই বিলটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চর্চা হতে পারে— তা আঁচ করে আগাম পরিকল্পনাও সেরে নিয়েছে কেন্দ্র। তাই এটি নিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে ক্ষেত্রে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলটি খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর কথাও ভাবছে তারা। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্র।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন