দূষণে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা এখন দিল্লিতে। তার জন্যই দিল্লি সরকার এখন ৫০ শতাংশ কর্মী ও আধিকারিককে "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। রবিবারও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত এর আগে দূষণের কারণেই দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুরনিগমে কর্মীদের কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। দিল্লি পুরনিগমে কাজের সময়ে ছিল সকল ৮ টা ৩০ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। দিল্লি সরকারের কার্যালয়েগুলিতে কাজের সময় ছিল সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)- এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দিল্লির বাতাসের গুনগত মানের সূচক ৩৬৬ (অত্যন্ত খারাপ)। তবে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় ৪০০ উপরে রয়েছে। যা কিনা অতি ভয়ানক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিপিসিবি তথ্য অনুযায়ী জাতীয় রাজধানীর রেলস্টেশনের আশেপাশের এলাকায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩২৮, চাঁদনী চৌক ৩৪৯। তবে আনন্দ বিহারে ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে একিউআই। সেখানে একিউআই ৪৭৩। ফলে তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। সূত্রের খবর যদি বাতাসের গুণগত মান ০-৫০ এর মধ্যে থাকে তাহলে তাকে "ভালো" বলা যায়। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ অত্যন্ত খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিস্থিতি এক কথায় ভয়াবহ। যেকোনো বয়েসের মানুষ- শিশু থেকে প্রবীণ সকলেই এই দূষণের কবলে পরে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এহেন পরিস্থিতি কঠোর হাতে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে 'বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক কমিশন' (সিএকিউএম)। প্রয়োজনে স্কুলগুলিতে যাতে বেশিরভাগ পড়ুয়াকে না আনা হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে আবহবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, আগামী তিনদিন হয়তো কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবে দিল্লিবাসী। কারণ, এই তিনদিন ভূপৃষ্ঠ লাগোয়া অংশে দূষিত ধূলিকণা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো তীব্র বায়ুপ্রবাহ থাকবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন