Top News

জামিন পেলেন 'বান্ধবী' অর্পিতা | পার্থ এখনো জেলে

 


নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিইএর করা মামলায় রাজ্যের  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ন’জনের জামিন নিয়ে একমত হতে পারেননি কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। তবে ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। পাঁচ লাখ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে তাকে। সেই সঙ্গে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। তবে জামিন পেলেও কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। 


পার্থদের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। গত ২০ নভেম্বর এই মামলার রায় দেয় বেঞ্চ। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ন’জনেরই জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিচারপতি সিংহ রায় তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তিনি চার জনের জামিন মঞ্জুর করলেও পার্থ-সহ বাকি পাঁচ জনের ক্ষেত্রে জামিনের বিরোধিতা করেন। দুই বিচারপতির কাছ থেকেই জামিন পান কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডল। জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় পার্থ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার ক্ষেত্রে।


পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা। এমনটাই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। এবার সেই অর্পিতা জামিন পেলেন। তবে এখনও জামিন পাননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 


এর আগে আদালতে দেখা গিয়েছিল, মূলত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাবতীয় সংসর্গ এড়াতে তৎপর পার্থ। তাঁর আইনজীবী সেই সময় জানিয়েছিলেন, যার কাছে টাকা তিনি যদি অস্বীকার করেন তাহলে আমার কী করার আছে? অর্পিতা বাচ্চা দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। তার খারাপ মানসিকতা কীভাবে জানব? একটা খামে আমার নাম লেখা ছিল সেটাই দুর্নীতির প্রমাণ, এটা কীভাবে সম্ভব? যদি সব স্বীকারও করা হয়, তার মানেও এটা নয় যে যাবতীয় জিনিসের মালিক আমি।


এদিকে বুধবার শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা মিনতিদেবীর মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্যারোলের আবেদন জানিয়েছিলেন অর্পিতা। তাঁর ২ দিনের প্যারোল মঞ্জুর করেছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাতে অর্পিতাকে বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। প্যারোলে মুক্তির পর বৃহস্পতিবার বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। তিনি আক্ষেপ করেছিলেন, ‘আমাকে কেউ একবার জানাল না। তাহলে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতাম।’ 


অন্য দিকে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ছিল, অনির্দিষ্ট কালের জন্য কোনও ব্যক্তিকে আটকে রাখা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার অনুরূপ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যত গুরুতরই হোক না কেন, আদালতের সামনে বিচারপ্রক্রিয়ায় তা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ না হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে এত দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দি করে রাখা যায় না। তাই পার্থদের জেল হেফাজতে রাখার আর প্রয়োজন নেই বলে মনে করেছেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একই সঙ্গে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন