Top News

'আমি খাবার কিনছি দোকানে, ও আমায় ইশারা করল,তারপর দেখি.', সেদিন টিউশন থেকে ফেরার পথে জয়নগরের সেই নাবালিকা কী করছিল সবটা বলে দিল বান্ধবী

 


প্রতিদিনই একসঙ্গে পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরত ওরা। তবে শুক্রবার যেন সব তছনছ হয়ে গেল। রোজের মতো বান্ধবীর সঙ্গেই টিউশন থেকে বেরিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই নাবালিকা। তবে মাঝ রাস্তায় এক সাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাড়ির পথে এগিয়ে যায় সে। আর তারপরই…। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল টিভি৯ বাংলায় জানাল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তথা জয়নগরে মৃত নাবালিকার বান্ধবী।

নাবালিকার বান্ধবী জানায় যে তারা রোজই দুই বন্ধু টিউশন শেষে একসঙ্গে ফিরত। তবে শুক্রবার তাঁর অঙ্ক খাতা দেখতে দেরি হয়েছিল শিক্ষিকার। সেই সময় নির্যাতিতা নাবালিকা বান্ধবীর জন্য অপেক্ষা করছিল। পরে ছুটি হওয়ার পর তারা একসঙ্গেই বের হয়। এরপর কিছুটা যাওয়ার পর নির্যাতিতা নাবালিকা তার বান্ধবীকে বলে সে সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরবে।

কিন্তু পরিবারের দাবি, আর ফেরেনি মেয়ে। তন্ন তন্ন করে খোঁজ করেও না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তারপর বাড়ির পাশের পাঁচশ মিটার দূরে উদ্ধার হল চতুর্থ শ্রেণির নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার এক ব্যক্তি।

তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী বলে,”আমরা টিউশনে গিয়েছিলাম। পাঁচটা পর্যন্ত টিউশন পড়ি আমরা। আমার খাতা দেখতে দেরি হচ্ছিল। ও বসেই ছিল আমার সঙ্গে। তারপর ম্যাম ছুটি দিল। আমরা একসঙ্গেই যাচ্ছিলাম। মাঝ পথে আমি দোকানে খাবার কিনতে ঢুকি। ও বলল আমি এগিয়ে যাচ্ছি। তারপর খাবার কিনে আমি তাড়াতাড়ি যাচ্ছি, ও আমায় দেখে বলল আমি সাইকেলে উঠে বাড়ি যাচ্ছি। বলে ও চলে গেল। তারপর আমি মায়ের সাথে চলে গিয়েছি।”

নাবালিকা আরও জানায়,”প্রতিদিন একসঙ্গে যেতাম পড়তে আমরা। ও যেত বাবার সঙ্গে। ফেরার পথে একসঙ্গে ফিরতাম। সেদিন একটু দেরি হয়েছিল। যার সাইকেলে চেপে চলে গেল তাকে চিনি না। এর আগে কোনও দিন দেখিওনি। ও রোজ আমার সঙ্গেই ফিরত। তবে শুক্রবারই ফেরেনি শুধু।”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন