বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'(Cyclone Dana) ক্রমশই এগিয়ে আসছে স্থলভূমির দিকেই। দিল্লির মৌসম ভবনের(Mausam Bhawan) পূর্বাভাস মিলিয়ে ওড়িশার(Odisha) ভিতরকণিকা অভয়ারণ্য(Bhitarkanika Sanctuary) সংলগ্ন ধামরা বন্দর(Dhamra Port) এলাকাতেই ল্যান্ডফল(Landfall) করতে চলেছে 'ডানা'।
তবে যে সময়ে তার ভূমিস্পর্শ করার কথা ছিল তার আগেই সেই স্থলভাগে ঢুকে পড়তে চলেছে। সকাল ৯টা নাগাদ মৌসম ভবন সূত্রে প্রাপ্ত খবর, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টে নাগাদ ধামরার বুকে শুরু হবে 'ডানা'র ল্যান্ডফল। রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে তা স্থলভাগে সম্পূর্ণ রূপে ঢুকে পড়বে। তবে স্থল্ভাগে পা রাখার আগেই 'ডানা'র শক্তিক্ষয় শুরু হয়ে যাবে সাগরের বুকে। নেপথ্যে উত্তুরে হাওয়া। সেই হাওয়ার জন্যই 'ডানা' যেমন বেশি উত্তর দিকে এগোতে পারছে না, তেমনি উত্তুরে ঠাণ্ডা হাওয়ার সংস্পর্শে এসে তার শক্তিও ক্ষয় হচ্ছে। আর এই কারণেই বাংলার(Bengal) বুকে 'ডানা'র দাপটে যে প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছিল ততটা প্রভাব কিন্তু পড়তে দেখা যাচ্ছে না। তবে জলোচ্ছ্বাসের বিপদ থাকছে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, 'ডানা'র দাপটে বুধবার রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো সাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের ৭-৮টি জেলায়। কিন্তু এই জেলাগুলি থেকে গতকাল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর মিললেও তা অনুমানের থেকে যথেষ্টই কম হয়েছে।ঝোড়ো হাওয়া উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়া সেভাবে কোথাও দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের মোট ১০টি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। এমনকি শুক্রবারও রাজ্যের পশ্চিমের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাগরের বুকে 'ডানা'র শক্তিক্ষয় দেখে মৌসম ভবনের বিশেষজ্ঞদের দাবি, 'ডানা'র প্রত্যক্ষ প্রভাব বাংলায় যতটা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছিল ততটা পড়বে না। কেননা সকাল ৯টা অবধি এদিন রাজ্যের কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি তো দূরের কথা, ভারী বৃষ্টির খবরও মেলেনি। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে যা সাধারণত নিম্নচাপের ক্ষেত্রে হয়। তবে ঝোড়ো হাওয়া সেভাবে মিলছে না। উপকূলবর্তী এলাকায় অবশ্য ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরও উত্তাল আছে। তবুও যতটা দুর্যোগের আশঙ্কা করা হয়েছিল, ততটা দুর্যোগের মুখে বাংলাকে পড়তে হচ্ছে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন