![]() |
পাকিস্তানে প্রতিবাদ |
পাকিস্তানে মহিলাদের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ, বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে। পাকিস্তানে বেশিরভাগ ধর্ষণের ঘটনা পরিবারের লোকজনের দ্বারা সংঘটিত হয়। সম্প্রতি, এক পাকিস্তানি মহিলা সংসদ সদস্য জাতীয় টেলিভিশনে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মহিলা সংসদ সদস্য হামিদ মীরের টিভি অনুষ্ঠানে বলেন, পাকিস্তানে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৮২% অপরাধী আসলে পরিবারের সদস্য।
তিনি জানান, ধর্ষকদের মধ্যে শিকারিদের বাবা, ভাই, চাচা, দাদা, নানা, মামা এবং ফুফা অন্তর্ভুক্ত। শন্দানা গুলজার খানের মতে, অধিকাংশ মেয়েদের ধর্ষণ পরিবারের কাছের লোকের দ্বারা ঘটে। যদি কোন মেয়ে বাড়িতে গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তবে তার মা তাকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যায়। তবে, যদি ডাক্তার পুলিশে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন, তাহলে তারা যুক্তি দেখায় যে তারা তাদের স্বামীকে ছেড়ে যেতে পারবে না।ডিবেট চলাকালীন তিনি বলেন, পাকিস্তানে এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করতে কেউ প্রস্তুত নয়। অক্টোবর ২০২২ সালের এক সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। সেইসঙ্গে, সম্মান হত্যা (অনর কিলিং) বাড়ছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে প্রতি ১২ জন মহিলার মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হয়, কিন্তু এই সংখ্যা আসলে আরও বেশি কারণ বেশিরভাগ ঘটনা রিপোর্ট করা হয় না। এই তথ্যগুলো সমাজের মধ্যে ভয়াবহ সত্তার দিকে ইঙ্গিত করে, যা পরিবর্তন এবং সচেতনতার জন্য একটি জরুরি আহ্বান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন