![]() |
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। |
এই ঘটনা যে ঘটেছে, সেই প্রমাণ সিবিআই পেয়েছে সন্দীপ ঘোষের একটি অডিও থেকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, একবার ব্যবহার হয়ে যাওয়ার পর ইঞ্জেকশনের সেই সিরিঞ্জ ও স্যালাইনের বোতল বেআইনিভাবে ফের ব্যবহৃত হত আরজি কর হাসপাতালে। সেই তথ্য জেনে জান নির্যাতিতা। সিবিআই এর সন্দেহ, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল ফের চলে আসছে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে। অবাধে তা ব্যবহার হচ্ছে রোগী পরিষেবায়! আর নতুন সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল কেনার টাকা পকেটস্থ করছেন সন্দীপ ঘোষ সহ তাঁর অনুচররা। ডিউটি করতে গিয়ে এই তথ্য জেনে যান মহিলা চিকিৎসক।
ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন আর জি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা। আর তার জেরেই তিনি টার্গেট হয়ে পড়েন সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর অনুচরদের। তরুণী ওই চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন তারই পরিণতি বলে সন্দেহ করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠর মোবাইল ঘেঁটে কিছু অডিও ক্লিপের হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা্র আধিকারিকরা। ওই অডিও ক্লিপগুলিতে অভিযুক্তদের কথোপকথন শোনা গিয়েছে। সেই সূত্রেই সিবিআই জানতে পেরেছে, সন্দীপ ঘোষকে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বলছেন, 'মেয়েটা বড্ড বাড়াবাড়ি করছে।' এখন কিছু না করলেই নয়। যদিও সেই মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে অডিও ক্লিপে কিছু বলা নেই।
তবে সিবিআই আধিকারিকরা অনেকটাই নিশ্চিত যে, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল ফের ব্যবহার করার জন্য যে তাঁদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, এই তথ্য জানার পর প্রতিবাদ করেছিলেন হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই তরুণী চিকিৎসকই। সেই কারণেই তাঁর মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। চাঞ্চল্যকর এই তথ্যের নিরিখে নির্যাতিতা ঠিক কেমন ও কত হুমকির মুখে পড়েছিলেন, তা জানতে কয়েকজনকে জেরা করা হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন