আর সেই অভিযোগ, সামনে আসার পরেই উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগ চমকে দেওয়ার মতো।
অশালীন মেসেজ পাঠানো হত
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষক ছাত্রীদের লক্ষ্য করে যৌনগন্ধী অশালীন মন্তব্য করতেন। এমনকী কোনও কোনও সময়ে সুযোগ পেলে ছাত্রীদের অশালীন ভাবে স্পর্শও করতেন ওই শিক্ষক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন তিনি। তারপরে রাত হলেই সেই ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে অশালীন, আপত্তিকর মেসেজ করতেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ফোন, ভিডিও কল করা হত। তা না ধরলেই ফেল করানোর হুমকি দেওয়া হত। ভয়ে ছাত্রীরা মুখ খুলতে পারত না।
সম্প্রতি পড়ুয়ারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছেন। এক ছাত্রীর অভিযোগ, তিনি একটি সমস্যা নিয়ে স্যারের কাছে গিয়েছিলেন। বদলে অভিযুক্ত ওই স্যার তাঁকে বলেন, আমার তৃতীয় পা ধরলেই আমি তোমায় সাহায্য করব। ছাত্রীদের দাবি, ক্লাস চলাকালীন অশালীন কথাবার্তা বলতেন ওই স্যার। মহিলাদের জন্য এবং পুরুষদের জন্য তরমুজ খাওয়া ভালো। এমন লাইন বারবার করে ব্যবহার করতেন নাকি ওই স্যার। পাশাপাশি তিনি নাকি কয়েকজন ছাত্রীকে বলেছিলেন, মহিলাদের গোপনাঙ্গ মাছের পেটির মতো।
শুরু তদন্ত
ছাত্রীদের অভিযোগ, মনির উদ্দিন আহমেদ ছাত্রীদের ডেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন কোন কোন ছাত্রী আজ কী রংয়ের অন্তর্বাস পড়েছেন। এমনকী বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কিনা, এসব প্রশ্নও করা হত। ওই শিক্ষকের হাত থেকে রেহাই পেতেন না বিবাহিতা ছাত্রীরাও। তাঁদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক কেন। শারীরিক সম্পর্ক কেমন, এসব প্রশ্ন বারবার করতেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চলছে রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি জেরে ওই শিক্ষককে সরিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন