Top News

'দাদা'দের মদতেই চলে গণ-টোকাটুকি- হবু ডাক্তারদের অবক্ষয় দেখে অবসাদ, সুইসাইড



গত কয়েক বছরে, পশ্চিমবঙ্গের মেডিকেল কলেজগুলিতে এক নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা দেখছে, তাদের মতো করে পড়াশোনা না করেও অনেকে টোকাটুকি করে পাশ করছে। এই অসৎ প্রতিযোগিতা ও র‌্যাগিংয়ের কারণে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। স্নিগ্ধা নামে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা এই সমস্যার গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আশা করে যে তারা একটি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা করবে। কিন্তু বাস্তবতা অন্য। গত কয়েক বছরে, এই কলেজগুলিতে টোকাটুকি ও র‌্যাগিংয়ের মতো অসৎ কার্যকলাপ বেড়েছে। এই অবৈধ কার্যকলাপে সিনিয়র ছাত্ররা নবীনদের জোর করে অংশগ্রহণ করায় এবং পরীক্ষায় নকল করতে সাহায্য করে। ফলে, মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে এবং অনেকে আত্মহত্যার মতো চরম পথ বেছে নিচ্ছে। স্নিগ্ধার মতো একজন মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যু এই সমস্যার গুরুতরতা আরও বাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের ফোন বার্তায় তাঁর বাবা প্রণবকুমার কুণ্ডু বলেন, 'প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ওর চেয়ে কম মেধাবীদের টোকাটুকির বহর দেখে ভেঙে পড়েছিল। ওর মনে হয়েছিল, যদি ডাক্তারিটাই না-শেখা হয়, তা হলে এত পরিশ্রম করে তিন বারের চেষ্টায় নিট পরীক্ষার গণ্ডি টপকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়ে লাভটা কী হলো?' প্রণবের দাবি, স্নিগ্ধা বার বারই বলতেন, মন ভালো নেই, ভালো লাগতো না কোচবিহার মেডিক্যালের সংস্কৃতিও।

ক্লাস শেষের পরে সিনিয়র 'দাদা'রা অহেতুক প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ডেকে তাঁদের ঘরে বসিয়ে রাখত। সেই র‍্যাগিংয়ের প্রথাকেও মেনে নিতে পারেননি তাঁর মেয়ে, দাবি প্রণবের। স্নিগ্ধা গল্প করত, 'দাদা'রা বলতেন, পড়াশোনা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। শুধু ওঁদের দলে থাকতে হবে। পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ওঁদের।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন