তিনি সতর্ক করেন যে, ধর্ষণ ও খুনের কথা প্রকাশ করলে যারা মুখ খুলবেন, তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। সিবিআই এই তথ্য হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে।
সিবিআই প্রথমে তদন্ত শুরু করে কেন সহকারী সুপার অভয়াকে আত্মহত্যা বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জানা যায়, এই নির্দেশ সন্দীপের থেকেই এসেছে। তিনি ভোর ৪.১০ নাগাদ হাসপাতালের অফিসে বসে তরুণীর ছবি পেয়েছিলেন এবং তখনই অভয়ার খুন ও ধর্ষণের বিষয়টি জেনে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি ডাক্তার অভীকসহ চার চিকিৎসককে সকাল সাড়ে এগারোটায় নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান।
সন্দীপ জানিয়ে দেন যে, আর জি করের পড়ুয়ারা ঘটনার কথা আলোচনা করছে এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন। ফলে, ঘটনার সত্যতা চাপা দিতে হবে। অভীককে নির্দেশ দেন যে, যেকোনো মূল্যে এই তথ্য আটকাতে হবে।অভীক এবং তাঁর সহযোগীরা ছাত্রদের হুমকি দিয়ে জানান, তাঁরা যেন দাবি করেন অভয়া আত্মহত্যা করেছেন এবং খুন বা ধর্ষণের শিকার হননি।
সিবিআই দাবি করেছে, সন্দীপ কলকাতা পুলিশের টিমের সঙ্গে সেমিনার হলে অভীককে ঢুকিয়ে দেন, যার উদ্দেশ্য ছিল তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা। তবে টালা থানার প্রাক্তন ওসির দাবি, পুলিশ টিমের সঙ্গে বাইরের কেউ ছিলেন না। এই অবস্থায়, সিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা হচ্ছে, কারণ সন্দীপের ভূমিকা এই ঘটনার সূক্ষ্মতাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন