আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই এখন নতুন তথ্যের সন্ধানে। তারা নিশ্চিত করেছে যে সেমিনার হলই ঘটনাস্থল নয়। তরুণী চিকিৎসকের দেহ যেভাবে সজ্জিত ছিল, তা নিয়ে সন্দেহের সূচনা হয়। সিবিআই-এর দাবি, তারা প্রকৃত খুনের স্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে, এবং এর পেছনে রয়েছে ডিজিটাল নথির সাহায্য।
এখন সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে সেমিনারের পারিপার্শ্বিক তথ্য এবং ডিজিটাল নথি, যা তাদেরকে ঘটনাস্থল সম্পর্কে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, হত্যাকাণ্ডের জন্য মূল ঘটনাস্থল একটি আলাদা তল হতে পারে। তদন্তের অংশ হিসেবে হাসপাতালের কর্মীদের ডাকা হয়েছে, যারা নিশ্চিত করেছেন যে সেমিনার হলটি প্রকৃত ঘটনা নয়, বরং ওই ভবনের উপরের একটি তল আসল ঘটনাস্থল।
সিবিআই ইতিমধ্যেই ওই তলায় যাওয়ার কাজ শুরু করেছে এবং জায়গাটি ম্যাপিং করেছে। তারা দাবি করেছে, প্রাথমিক তথ্য এবং অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণ এই স্থানকেই নির্দেশ করছে। তরুণীকে হত্যা করার আগে সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে, এবং সেখানকার মোবাইল টাওয়ার ডাম্প থেকে কিছু ফোন নম্বর শনাক্ত করা হয়েছে।
তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে। এই রিপোর্ট আসলে নতুন স্কেচ ম্যাপ তৈরি করা হবে। তবে, সিবিআইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে: যদি ডিজিটাল প্রমাণ দ্বারা আসল ঘটনাস্থল প্রমাণিত না হয়, তবে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেমিনার হলের অভিযোগ এবং এর চারপাশের পরিস্থিতি সিবিআইয়ের তত্ত্বকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে। সিবিআইয়ের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের সামনে আসা নতুন তথ্যগুলি এই তদন্তকে নতুন দিকে নিয়ে যাবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণ ও খুনের মামলার স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ার কথা রয়েছে, যা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন