কর্মস্থলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হওয়ায় সোমবার বিকেল ৫টা থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারই মধ্যে আরজি করের বিচার চেয়ে এবং আন্দোলনরত ডাক্তারদের দাবির সমর্থনে রবিবার হাওড়ায় সপরিবারে পথে নামছেন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা।
অন্যদিকে একই দাবিতে আগামী ১ অক্টোবর কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদর পর্যন্ত মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে ৫৯টি সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনও। মিছিলে লক্ষাধিক মানুষ হাঁটবেন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
অন্যদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর পাড়ায় পাড়ায় জমায়েতের ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। ২ অক্টোবর মহালয়ার দিনে শহরে মহা মিছিলের ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। ধর্মতলায় হবে সমাবশও। অর্থাৎ পুজোর মুখে ফের জোরাল আন্দোলনের ইঙ্গিত।
ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে রোগীর পরিজনদের হাতে প্রহৃত হন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী। অভিযোগ, শুধু মারধর করা নয়, 'আরজি কর করে দেওয়ার' হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কর্তব্যরত এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকে।
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকেই সাগর দত্তে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন সেখানকার জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ দফতরের পদস্থ কর্তারা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু কর্মস্থলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়ায় ডেডলাইন বেঁধে দেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা।
সোমবার বিকেলের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করতে পারলে ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে নামার কথা জানিয়ে দেন তাঁরা। অন্যদিকে আরজি করের ঘটনার দ্রুত বিচার চেয়ে শনিবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ৫৯টি গণ সংগঠন। ১ অক্টোবর কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদর পর্যন্ত মহা মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আরজি কর-কাণ্ডে দ্রুত বিচার চেয়ে রবিবার শিবপুরের কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মৌনী মিছিলের ডাক দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরা। জানা যাচ্ছে, মিছিলেন হাঁটবেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও।
মুখে স্লোগান না থাকলেও, গলায় ঝোলানো থাকবে বিচারের দাবিতে একাধিক প্ল্যাকার্ড।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন