Top News

ময়নাতদন্তে বিস্তর গন্ডগোল! ডাক্তারের বয়ান অসঙ্গত, অস্পষ্ট ভিডিও, ছবি কি কথা বলবে?

 


আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যে চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করেছিলেন তাঁদের একজন অপূর্ব বিশ্বাস। ইতিমধ্যেই একাধিকবার তাঁকে ডেকেছে সিবিআই, শুক্রবার টানা জেরাও করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের মর্গের এক ক্লার্ক কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

ময়নাতদন্তের পরবর্তী নথিপত্র লেখায় ওই কর্মীর ভূমিকা ছিল বলেই মনে করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে ও তার রিপোর্টেও একাধিক গলদ আছে মনে করা হচ্ছে বলেই স্ক্যানারের তলায় রাখা হয়েছে অপূর্ব বিশ্বাসকে।

সিবিআই সূত্রের খবর, চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসের বয়ানের সঙ্গে ওই কর্মীর বয়ানে একাধিক পার্থক্য উঠে এসেছে। এমনকি প্রশ্ন উঠেছে ময়নাতদন্ত করার পরে যে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছিল সেই রিপোর্ট নিয়েও। 

ওই ক্লার্ক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে মোট আটটি ময়নাতদন্ত হয়েছিল। নির্যাতিতা ছাড়া বাকি সাতটি দেহের ময়নাতদন্তই হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে। সেই সবক'টি রিপোর্ট নিয়েই অপূর্বকে তলব করে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেগুলি দেখেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। এমনকি ময়নাতদন্তের ভিডিও-ও অস্পষ্ট বলে জানিয়েছে তারা।

এই অবস্থায় ১৫টি ছবির ওপর ভরসা রাখছে সিবিআই। কোন ছবি?

এখানেও রয়েছে রহস্য। জানা গেছে, ময়নাতদন্ত করা তিনজন ডাক্তারের মধ্যে একজন ময়নাতদন্তের কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলেন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, যেহেতু সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল নির্যাতিতার, তাই 'সন্দেহ' হয়েছিল তাঁর। সেই ডাক্তারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই, তাতেই তিনি নিজে থেকে জানিয়েছেন ওই ১৫টি ছবির কথা। 

ইতিমধ্যেই ছবিগুলর ডিজিটাল ফরেন্সিক করিয়ে সিবিআই নিশ্চিত হয়েছে যে সেগুলি কোনওভাবে বিকৃত করে তৈরি করা নয়। এর পরে ছবিগুলি পরীক্ষার জন্য দিল্লি ও কল্যাণী এইমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছেও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, সবকটি ছবি দেহের যথেষ্ট কাছ থেকে তোলা হয়েছিল। তাতে স্পষ্ট রয়েছে শরীরের বিভিন্ন আঘাত, যৌনাঙ্গের ক্ষত, দেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা, এমনকি ব্যবচ্ছেদের পরে দেহের ভিতরের আঘাতও।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন