Top News

রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে শুধু লাশ, বাংলাদেশে 'অসহযোগে'র প্রথম দিনেই মৃত প্রায় ১০০জনের বেশি শিক্ষার্থীর , আজ আরও হিংসার শঙ্কা


 একটাই দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই। অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে জায়গায় জায়গায় খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে নাম জড়িয়েছে আওয়ামি লিগেরও। সংঘর্ষ, গুলি চালানোর ঘটনায় বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ১০০ এর ও বেশি।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করলেন " দেখুন এরা শিক্ষার্থী হতে পারেনা এরা জঙ্গি "

পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার থেকে শুরু হওয়া অসহযোগ আন্দোলন প্রথম দিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা, সিলেট, ফেণী, বগুড়া, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সরকারকে সমর্থনকারী আওয়ামি লিগ ও পুলিশের সঙ্গে। ২০টি জেলা ও মহানগর মিলিয়ে আন্দোলনের প্রথম দিনেই কমপক্ষে ১০০ জনের  বেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক মানুষ। ১৪ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবরও মিলেছে।

বাংলাদেশের তরফে জানা গিয়েছে, ৫০টিরও বেশি জেলায় হিংসা-সংঘর্ষ ছড়িয়েছে রবিবার। অধিকাংশ জায়গাতেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আন্দোলন বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আন্দোলনকারীদের অনেকের হাতেই পিস্তল, বন্দুক, রাইফেলের মতো আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠি, ধারল অস্ত্র ছিল। সরকারি নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবনে হামলা ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধেও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, ছররা, রবার বুলেট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল থেকেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা। যান চলাচল থেকে দূরপাল্লার ট্রেন-কিছুই চলেনি। রাজধানী ঢাকাতেও পরিবহন স্তব্ধ ছিল। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সন্ধে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

আরো জানা যাচ্ছে মেয়েদের রেপ করার হুমকি , মেরে ফেলার হুমকি আসছে । 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন