বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে লেডিজ হস্টেলের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। লেডিজ হস্টেলে এক দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ার ঘটনায় ভেতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যায়। অভিযোগ, রাত আড়াইটা নাগাদ এক দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ে হস্টেল চত্বরে। বিষয়টি নজরে আসতেই এক আবাসিক ছাত্রীর চিৎকারে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।
কী উদ্দেশ্যে ওই দুষ্কৃতী হস্টেলে ঢুকেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এই ঘটনার পরেও কি আদৌ বদলাল লেডিজ হোস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা? অনায়াসেই লেডিজ হস্টেলের মূল ফটক পেরিয়ে ঢুকে পড়া যায় হোস্টেল চত্বরে। দরজার পাশেই সিকিউরিটি রুম থাকলেও সেখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষীর দেখা মিলল না। নজরদারির জন্য মূল ফটকের দিকে তাক করা একটা সিসি ক্যামেরা আছে। কিন্তু হস্টেলের আবাসিকরাই জানেন না, সেই সিসি ক্যামেরা আদৌ চলে কিনা।
মূল ফটক দিয়ে যে কেউ যে কোন সময় অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারবে হস্টেল চত্বরে। হস্টেলের পিছন দিক বিশাল ঝোপঝাড়ে ঢাকা। যেখানে ঢুকে পড়া দুষ্কৃতী অনায়াসেই গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। হস্টেলের সীমানা পাঁচিল বড়জোর ৬ ফুট উঁচু। জায়গায় জায়গায় জমে থাকা মাটির উঁচু স্তূপ কোথাও কোথাও পাঁচিলের উচ্চতাকে আরও কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচিলের উপর নেই কাঁটাতার। ফলে যে কেউ যে কোনও সময় বাইরে থেকে পাঁচিল টপকে ঢুকতে বা বেরতে পারে হস্টেল চত্বরে
এমন অরক্ষিত হস্টেল চত্বরে নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি বারেবারে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু হাল বদলায়নি। সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ড এবং সোমবার রাতে এই হাসপাতালের লেডিজ হস্টেলে ঘটনার পর আতঙ্কে আপাতত কাঁটা পড়ুয়াদের। কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তার গাফিলাতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন