দিন কয়েকের কোটা বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের একাধিক মেট্রো স্টেশন ভাঙচুর চালানো হয়। বৃহস্পতিবার মীরপুর ১০ মেট্রো স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধ্বংস লীলা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না, কেঁদেই ফেললেন হাসিনা। মেট্রো স্টেশনের ভাঙা কাচের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।
চলতি মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে বাংলাদেশ। উন্মত্ত জনতা মেট্রো রেলে যে ধ্বংস লীলা চালান তাতে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, কন্ট্রোল রুম, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিন সহ প্রায় সবকিছুই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এই তাণ্ডবলীলা দেখে সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, "দেশের মানুষ আমার পরিবার। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেশেরর উন্নয়ন করতে চেয়েছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের পরিচয় পেয়েছে। কোন ধরনের মানসিকতা থেকে মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলছে যে সব পরিকাঠামো, সেগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়? তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করা হবে, হতাশ হবে না, এই আশ্বাস দিয়ে তাঁদের বিরত থাকতে বললাম। কোটা সংস্কারের আপিলও করি। কিন্তু নাগরিককে তো ধৈর্য ধরতে হবে। আইন আদালত মেনে চলতে হবে।"
ঢাকা শহরে বাস-গাড়ি-রিক্সায় প্রবল যানজট হয়। দেশে মেট্রো চালু হওয়ার পর যানজট থেকে স্বস্তি পান সেখআনকার নাগরিকেরা। তবে এভাবে মেট্রোতে ভাঙচুর চালানোয় এই ক্ষতি পূরণ করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। এদিন ফের একবার চোখের জল ফেলে হাসিনা বলেন, "মেট্রোর কর্মীরাও আজ এই দৃশ্য দেখে কাঁদছেন। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহণের মাধ্যমের পরিকাঠামোর উপর যে ধ্বংসলীলা চালানো হচ্ছে, সেটা আমি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। দেশজুড়ে দানবীয় কর্মকাণ্ড হল।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন