সকাল থেকেই সবুজ ঝড়। রায়গঞ্জ(Raiganj) থেকে রানাঘাট, বাগদা(Bagda) থেকে মানিকতলা। সর্বত্রই সবুজ আবিরের ঝড়। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার বুকে সব থেকে বেশি আসন জিতেছিল তৃণমূল। বিজেপি যত আসন জিতেছে বাংলায়, তার প্রায় আড়াই গুণ আসন পেয়েছে তৃণমূল। সেই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও।
রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ(Ranaghat Dakshin), বাগদা আর মানিকতলা(Maniktala) - এই ৪ বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ের মুখ দেখল তৃণমূল(TMC)। এর মধ্যে রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ ও বাগদা ছিল বিজেপির দখলে। সেই জয়ের পরে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানালেন, 'অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। এক দিকে এজেন্সি, এক দিকে বিজেপি। মানুষই সব রুখে দিচ্ছেন। আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল। আমাদের আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকতে হবে। এই জয় আগামী ২১ জুলাই শহিদদের উৎসর্গ করা হবে। যারা জিতেছেন তাঁদের অভিনন্দন, যারা জিতিয়েছেন তাঁদেরও অভিনন্দন।'
শনিবার বিকেলেই মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মমতা। আর সেই প্রত্যাবর্তনের পরে পরেই কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানালেন, 'এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়। এই জয় রাজ্যবাসীকেই উৎসর্গ করলাম। চারটের চারটেতেই আমরা জিতেছি। তবে এই ফলাফলের আলাদা রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। যে আসন অর্থাৎ মানিকতলা আমাদের ছিল, আমাদেরই আছে। কিন্তু বাকি তিনটি আসনে গত বিধানসভা আর লোকসভা- দুটোতেই বিজেপি জিতেছিল। সেই আসনগুলোও আমরা জিতেছি। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী ছিল বিজেপির বিধায়ক। ও আমাদের দলে যোগ দেওয়ার পর লোকসভায় দাঁড় করিয়েছিলাম। ও জিতেই যেত। কিন্তু লোকসভা ভোটে ওখানে বিজেপি, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে ওকে হারিয়েছে। আমি তখনই বলেছিলাম, তুমি দাঁড়াও, তোমায় জিততে হবে। তো উপনির্বাচনে ও দাঁড়িয়ে জিতেও গেল। মুকুটমণিও তাই। আমাদের দলে আসার পর লোকসভায় কোনও কারণে হেরেছিল। আবার সুযোগ পেয়ে জিতে গিয়েছে। আর বাগদায় আমরা সবচেয়ে কমবয়সি মধুপর্ণাকে, মমতাবালা ঠাকুরের মেয়েকে দাঁড় করিয়েছিলাম। মধুপর্ণা খুব ভালো লড়াই করেছে। ওদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।'
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন