Top News

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে কংগ্রেস তাড়ালো অধীরকে, সিপিএমে যোগ দেওয়ার পথে অধীর চৌধুরী

 


নির্বাচনের মাঝেই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অথচ এতদিন তা জানায়নি কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস সভাপতি পদে বদল-জল্পনার মধ্যেই নিজের ক্ষোভ এবং অভিমানের কথা প্রকাশ্যে আনলেন অধীর চৌধুরী।


তিনি জানান, লোকসভা ভোট চলার সময়ে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের একটি মন্তব্যে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি এআইসিসি-র বৈঠকে তাঁকে যে ভাবে প্রাক্তন সভাপতি বলে অভিহিত করা হয়েছে, তা নিয়েও নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ।

দলের হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধেই এবার অভিমানী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে যে তাঁর ইস্তফাপত্র যে দল গ্রহণ করেছে, সে সম্পর্কে দলের কেউ তাঁকে কিছুই জানাননি বলে অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। অধীরের দাবি, গতকাল দলের হাইকম্যান্ডের ডাকা বৈঠকে গিয়েই তিনি জানতে পারেন যে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধীর জানিয়েছেন, গতকালের ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা থাকবে ভেবেই তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বৈঠকে কে সি বেণুগোপাল ছাড়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আর কেউ ছিলেন না। অধীর কার্যত অভিযোগের সুরেই বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম আলি মীরের নির্দেশেই বৈঠকে যাও হওয়ার হচ্ছিল। বৈঠকে রাজ্যের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, নেপাল মাহাতোর মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অধীর বলেছেন, 'যেদিন থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের সভাপতি হলেন, কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী গোটা দেশে দলের সমস্ত পদ অস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। আমার পদও অস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। ভোটের সময় আমি দলকে বলেছিলাম যে বাংলায় আসন সমঝোতা করতে হলে আমার তা জানা উচিত। কিন্তু আমি বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তৃণমূল তা মানবে না। ভোটের সময় মল্লিকার্জুন খাড়গে এ কথাও বলেন যে প্রয়োজনে আমাকে বাদ দিয়েই যা করার করা হবে। এই কথায় আমি দুঃখ পেয়েছিলাম। ভোটে বাংলায় কংগ্রেসের ফল ভাল না হওয়ায় আমার মনে হয়েছিল আমার দায়িত্ব নেওয়া উচিত। মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজেই ফোন করে আমাকে দিল্লি আসতে বলেছিলেন। মাঝে এআইসিসি-র পক্ষ থেকেই আমাকে ফোন করে বলা প্রদেশ নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক ডাকতে। যেখানে দুটি প্রস্তাব পাস করা হবে। আমার সভাপতিত্বেই এই বৈঠক হবে বলে আমি জানতাম। গতকালের বৈঠকের শুরুতেই গুলাম আলি মীর আমাকে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি বলে উল্লেখ করেন। তখনই জানতে পারলাম আমি প্রাক্তন হয়ে গিয়েছি!

অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সিপিএমের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে নাকি যোগাযোগ করা হয়েছে আগামী দিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিএম এ যোগ দেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে নাকি অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা করছেন বলেও জানা গিয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন