Top News

জেসিবি আটকের পর প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তার অপকর্ম, রয়েছে হত্যার অভিযোগ



 রাস্তায় এক মহিলা ও পুরুষকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে তালেবানরা। আর এই কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জেসিবির নাম এখন জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভাইরাল ভিডিও সামনে আসার পরে, পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেয়, একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং রাতেই চোপড়ার শান্দা মার্কা নেতা জেসিবিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। কিন্তু জেসিবি আটকের পর একের পর এক তার অপকর্ম প্রকাশ্যে আসছে। এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর বাইরে আরেকটি ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে, এই ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেনি |



ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরেক নারী ও একজন পুরুষকে। ওই ব্যক্তির শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। নাইটি পরা মহিলা। পিঠে ব্যান্ডেজ বেঁধে রাস্তায় হাঁটছেন তারা। এ ক্ষেত্রেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। চোপড়ার ক্ষেত্রে যেমন অভিযোগ করা হয়েছে। আক্রান্ত নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগও রয়েছে। আর তাতেই সালিশ ডেকেছে জেসিবি। নাম ‘ইনসাফ সভা’। আর সেখানে তালেবান শাসন চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এই মুরগি রাজের দায়িত্ব নিল জেসিবি? কোথায় প্রশাসন?


JCB- যার আসল নাম তাজমুল। চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা, তাজমুল পুরো গ্রামের ‘প্রশাসক’ বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কোর কমিটির সভাপতি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় জেসিবি চলছে। তার ভয়ে সবাই পুলিশ প্রশাসন ও মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে ভয় পায়। গত শনিবার, একজন ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে একটি মধ্যস্থতা বৈঠকে তালেবান-স্টাইলের নির্যাতনের দৃশ্য ধারণ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। নগরবাসীও বিষয়টি শেয়ার করেছেন। কিন্তু সূত্রের খবর, বিষয়টি জেসিবির কাছে পৌঁছলে, যে ব্যক্তি ভিডিওটি করেছে সে গ্রামেরই। এই ভিডিওটি যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাদের দ্বারা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল।


জেসিবির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক খুনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পঞ্চায়েত মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চোপড়ার সিপিএম নেতা মনসুর আলিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাতেও প্রধান অভিযুক্ত জেসিবি-ই।


পুরো ঘটনার বিধায়ক হামিদুল রহমানের ব্যাখ্যা আরও ভয়াবহ। তার যুক্তি সমাজকে কলুষিত করছিল। তাই গ্রামীণ মধ্যস্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই তিনি শাসন করতে গেলেন। কিন্তু যেটা করেছে, সেটা খুব বেশি করেছে। এ নিয়ে আমরাও দুঃখিত। আমরা চেষ্টা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে। মেয়েটা কোন অন্যায় করেনি! স্বামীকে ছেড়ে তার সন্তান কষ্টে আছে।”


বিরোধীরা পুরো বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার। বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল একটি মহিলাকে মারধরের ঘটনা তদন্ত করতে বাংলায় এসেছে, যার মাথায় ইতিমধ্যেই আঘাত রয়েছে৷ আর তার মধ্যেই এই ঘটনা। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

পরে বিধায়ক হামিদুল রহমান কে গ্রেপ্তার ও করে পুলিশ । 


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন