Top News

আইনি জটিলতায় প্রভাসের কল্কি, 'বিবৃত' তথ্য দেখানোর অভিযোগে নির্মাতাদের নোটিস শ্রী কল্কি ধামের পীথাধীশ্বর আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমের


প্রায় এক মাস হতে চলল বিশ্বজুড়ে ছয়টি ভাষায় (হিন্দি, ইংরাজি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়লম) মুক্তি পেয়েছে কল্কি ২৮৯৮ এডি (Kalki 2898 AD)। বক্স অফিসে রমরমিয়ে চলছে প্রভাস (Prabhas), অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan), দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone), কমল হাসান (Kamal Haasan) অভিনীত ছবিটি। ইতিমধ্যেই ভারতের বক্স অফিসে ৬০০ কোটি পার করে ফেলেছে কাল্কি। পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত নাগ অশ্বিন পরিচালিত ছবি এবার পড়ল আইনি জটিলতার মাঝে। মুক্তির ২৪ দিনের মাথায় কল্কি ২৮৯৮ এডি (Kalki 2898 AD) নির্মাতাদের কাছে আইনি নোটিস পাঠালেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা শ্রী কল্কি ধামের পীথাধীশ্বর আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)।

নাগ অশ্বিন পরিচালিত ছবি ঘিরে আপত্তি জানিয়েছেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম। তাঁর অভিযোগ, ধর্মীয়গ্রন্থে থাকা ধর্মীয় তথ্য 'বিকৃত' করে দেখানো হয়েছে ছবিতে। যা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের মনে আঘাত করতে পারে। ভুল চিত্রায়ন বন্ধ করার জন্যে কল্কি নির্মাতাদের কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ছবিতে কল্কি অবতারের মূল ধারণাই পরিবর্তন করে প্রদর্শন করা হচ্ছে। শাস্ত্র অনুসারে, কল্কি হলেন ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার। কাল্কি ২৮৯৮ এডি (Kalki 2898 AD) ছবিটি কল্কি অবতারের আগমনকে কেন্দ্র করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। অথচ নির্মাতারা কল্কি অবতারের ধারণা বদলে দিয়েছেন। ছবিতে যেভাবে বিষ্ণুর দশম অবতারকে দেখানো হয়েছে তা অসম্পূর্ণ এবং 'বিকৃত' তথ্য। যা কট্টর হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলেই জানিয়েছেন কল্কি ধামের পীথাধীশ্বর।

আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম কল্কি নির্মাতাদের আইনি নোটিস পাঠিয়ে তাঁর যাবতীয় অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক উল্লেখ করে কল্কি নির্মাতাদের ভুল চিহ্নিত করেছেন তিনি। আচার্য জানিয়েছেন, 'ভারত আবেগ, আস্থা ও বিশ্বাসের দেশ। এখানে সনাতন ধর্মের মূল্যবোধ নিয়ে খেলা করা উচিৎ নয়। সনাতন সংস্কৃতি ও সভ্যতার পাশাপাশি এর শাস্ত্রগুলিকেও বিকৃত করা অনুচিত। ভগবান কল্কি হলেন ভগবান বিষ্ণুর দশম এবং শেষ অবতার। অর্থাৎ তাঁর পরে আর কোন অবতার নেই। যা নিয়ে অনেক লেখালিখি হয়েছে। তা মেনেই শ্রী কল্কি ধাম স্থাপিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি আমাদের শাস্ত্রে যা বর্ণিত এবং লেখা হয়েছে তার বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক কিছু দেখিয়েছে। যা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে'।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন