ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জয় পাওয়ার দুদিন না যেতেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীর হাতে চড় খেয়ে নতুন করে আলোচনায় বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাউত। বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার পর মুখ খুলেছেন তিনি। ঘটনাটিকে তিনি পাঞ্জাবে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসবাদের চিহ্ন হিসেবে তুলে ধরেছেন।
প্রতিবেদন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনার গায়ে হাত তোলেন কুলবিন্দর কৌর নামে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) এক নারী সদস্য। ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
কুলবিন্দর কৌরের বাড়ি পাঞ্জাবের কাপুরথালায়। ঘটনার পরপরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও বেশি দেরি করেননি কঙ্গনা। এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। বলেন, ‘আমি নিরাপদ আছি। সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময়ই এই ঘটনা ঘটে। সেখানে আমার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ওই মহিলা অপেক্ষা করছিলেন যে, কখন আমি তার সামনে দিয়ে যাব। হঠাৎ পাশ থেকে আমার গালে চড় মারেন এবং গালি দিতে শুরু করেন। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন তিনি এই কাজ করলেন? তিনি তখন কৃষক আন্দোলনের কথা টেনে আনলেন।’
২০২১ সালে ভারতের দিল্লিসহ বিভিন্ন জায়গায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন করেন কৃষকরা। পাঞ্জাব থেকে আসা কৃষকরা দিল্লিতে প্রায় এক মাস ধরনা দেন। ওই সময় আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণাত্মক টুইট করেন কঙ্গনা রানাউত। কৃষকদের তিনি কখনও ‘খলিস্তানি’ আবার কখনও ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে সমালোচনা করেন। এমনকি নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরও কঙ্গনা কৃষকদের ‘জিহাদি’ বলে আক্রমণ করেন।
এসব কারণে কঙ্গনার ওপর ক্ষুব্ধ হয় শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। তার বিরুদ্ধে তখন মামলাও হয়েছিল। এরপর পাঞ্জাবে গেলে কঙ্গনার গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছিলেন কৃষকরা। সেই ঘটনার জেরেই এবার বিজেপির এই নেত্রী বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর হাতে চড় খেলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
কঙ্গনাকে চড় মারার পর কারণটা খোলাখুলিভাবেই বলেছেন ওই নারী জওয়ান। কেন এই কাণ্ড ঘটালেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘কঙ্গনা বলেছিল, ‘১০০ টাকার জন্য কৃষকরা ওখানে বসে আছে।’ ও কি সেখানে গিয়ে বসে ছিল? আমার মা সেখানে বসে ছিলেন। মায়ের অপমান সহ্য হয়নি।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন