Top News

ভোটের পরেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তুঙ্গে

 


দুই বছর ধরেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। কীভাবে মানুষের দিন যাচ্ছে তা কেবল সাধারণ মানুষই জানেন। করোনা পরবতী থেকে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছেই। চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেই সরকার বললো, নিত্যপণ্যে দাম মানুষের নাগালে আনাই তাদের প্রধান কাজ হবে। মানুষ আশাম্বিত হয়েছিল। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে সব কিছুর দাম বাড়ছেই। নানা অজুহাতে দাম বাড়ছে। এর দায় কেউ নেয় না। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

১ জুন থেকে সরকার ফের জ্বালানি তেলের দাম সংশোধন করেছে। বাড়ছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল এবং কেরোসিনের দাম। এখন দাম বাড়ানোর নতুন নাম হয়েছে, সমন্বয় করা।আমাদের দেশের সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম কমলেও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে।আমরা সবাই জানি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মানে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি।জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে যে যেখানে যেভাবে পারছে পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। সরকার বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বেঁধে দিলেও সেই দামে বিক্রি হয় না। হচ্ছেও না।

সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে দেওয়া। জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে মান বৃদ্ধি করতে পারলে সমাজে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। দিন যত যাচ্ছে, জীবনযাত্রার ব্যয় তত বাড়ছে। কিন্তু ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয় বাড়ছে না। ফলে সংকট দেখা দিচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারে। অন্যদিকে চাল, গম, ভুট্টা, সরিষাবীজ, পরিশোধিত সয়াবিন, পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ার বীজ, তুলাবীজ, বিভিন্ন শাক-সবজির বীজ, ক্রুড অয়েল, সার, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিটুমিন, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, ইনসুলিন, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের অত্যাবশ্যক ওষুধ এবং ভ্যাকসিন ও ওষুধের কাঁচামাল, বিভিন্ন ধরনের দরকারি রাসায়নিক ইত্যাদির ওপর বসতে যাচ্ছে বাড়তি শুল্ক। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গেলে বা ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ।

সরকারের বাজেট প্রস্তাবে সংকট সমাধানের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ থাকতে হবে। আসছে অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির কারণে বিপাকে পড়া মানুষকে সুরক্ষা দিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন